আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মাঝে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যেকোনো সময় ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে ও শুক্রবার (১৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার বরাব এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবৈধ গ্যাস লাইনের সংযোগ, বালু, সিমেন্টসহ বিভিন্ন মালামাল সরবরাহসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরাব এলাকার মিজানসহ তার লোকজনের সঙ্গে একই এলাকার মজিবুর রহমান, মাহাবুবল আলম শুভসহ তাদের লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জের ধরে বুধবার (১৪ জুলাই) রাতে স্থানীয় আলমগীর হোসেনের খাবার হোটেলে দেয়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ থেকে মাসিক তিন হাজার টাকা করে চাঁদা তুলতে যান মিজান ও তার লোকজন। এ সময় মজিবুর, মাহাবুবুর রহমান শুভসহ তাদের লোকজন এতে বাধা দেন। ওই বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজন তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ওই রাতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষের লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দ্বিতীয় দফায় দুই পক্ষের লোকজন রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়ালসহ ধারালো ও বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে মাহাবুব আলম শুভ, বাবলু মিয়া, সোলায়মান, শরিফা বেগম, হাসিব, আলম, সাজিব, রাকিব, আবু বক্কর বাজিবুর, স্মৃতি বেগম, শামিমা, আফরিন, আবির, মনির হোসেন, নুরে আলম, হযরত আলীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে রাকিব ও নুরে আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও শুক্রবার এক পক্ষ আরেক পক্ষের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
এদিকে, রাতভর দুই পক্ষের তাণ্ডবের কারণে এলাকাবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশসহ ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আপনার মতামত লিখুন........