নারায়ণগঞ্জসোমবার , ১২ জুলাই ২০২১
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লাবনী জুস কারখানায় আমের দেখা নেই তবুও তৈরী হচ্ছে ম্যাংগো জুস!

Alokito Narayanganj24
জুলাই ১২, ২০২১ ৭:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জের পাগলা নয়ামাটি ঢাল এলাকায় অবস্থিত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর লাবনী ফ্রুটিলা আর্টিফিসিয়াল ম্যাংগো ফ্লেভার দিয়ে ভেজাল ড্রিংকস। খাদ্য নীতিমালা তোয়াক্কা না করে বিএসটিআই এর অনুমতি ছাড়াই বিএসটিআই এর মোড়ক লাগিয়ে উজ্জল নামে এক লোক লাবনী ফ্রুটিলা নামক ওই জুস কারখানা গড়ে তুলেছে। স্থানীয় কিছু অসাধু পুলিশ প্রশাসন ও একটি মহলকে ম্যানেজ করেই এই কারখানায় তৈরি জুস নিশ্চিন্তে বাজারজাত করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পাগলার নয়ামাটি ঢাল মুসলিম পাড়া লাবনী ফ্রুটিলা জুস কারখানার অবস্থান। এই কারখানায় তৈরি জুস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সরকারি খাদ্যনীতিমালা অমান্য করে বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়াই এই কারখানায় তৈরি হচ্ছে ভেজাল জুস। কারখানাটির সরকারি অনুমোদন না থাকায় কর ফাঁকি দিয়েই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এই। নোংরা পরিবেশে তৈরি ভেজাল জুস বাজারজাত করে মানুষের জীবন বিপন্ন করছে কারখানা মালিক উজ্জল। বিশেষ করে এ জুস শিশুদের জন্য বেশি ক্ষতিকর বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়,বোতলের মোড়কে আমের ছবি, কিন্তু আমের ছিটে ফোটা নেই। মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যাল-ফ্লেভার আর অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরি হচ্ছিল পাকা আমের জুস।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় একটি মহলের প্রচেষ্টায় এই জুস কারখানা গড়ে তুলা হয়েছে। তবে প্রশাসন কয়েকদফা জেল জরিমানা করেও অদৃশ্যে শক্তির কারনে বন্ধ হয়নি এই জুস কারখানাটি। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্তাব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে উজ্জল চালিয়ে যাচ্ছে এই কারখানাটি। জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর এই ভেজাল জুস তৈরি করে কিভাবে বাজারজাত করা হচ্ছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সচেতন মহল। স্থানীয় প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার আইন ফাঁকি দিয়ে এই কারখানায় তৈরি ভেজাল জুস বাজারজাত করে মানুষের জীবন বিপন্নকারী কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশিষ্ট সরকারি দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক জানায়, আমরা কারখানায় গোপন গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করি। মেইন গেটে সবসময় তালা লাগিয়ে রাখা হয় যাতে কেউ জানতে না পারে কারখানাটি চালু আছে। তিনি আরো জানান, কারখানায় যে রঙ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি খাবারের নয়। কাপড়ে ব্যবহার করা হয় এই রঙ। ম্যাংগো জুস নামে বিক্রি করলেও তাতে আমের কোনো পাল্প নেই। পানির সঙ্গে গন্ধের জন্য দেয়া হয় ম্যাংগো ফ্লেভার। আর মিষ্টি করতে দেয়া হয় স্যাকারিন। এই জুসগুলো সাধারণত শিশুরাই পান করে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর।

এ বিষয়ে কারখানা মালিক উজ্জলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি জানান আমাদের কাগজ পত্র সব ঠিকটাক আছে এই জুস দেহের জন্য কোন ক্ষতিকারক নয়।

লাবনী জুস কারখানার ম্যানেজার বলেন, আমাদের ট্রেড লাইসেন্স আছে কিন্তু বিএসটিআই এর অনুমোদন নাই। আমরা কাগজ পত্র সরকারী অধিদপ্তরে জমা দিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!