আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : রূপগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ৫ম দফায় প্রথম দিনের মতো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে বিআইডবিøউটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত।মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হাবিবুর রহমান হাকিমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদলত এই উচ্ছেদ অভিযান চালায়।
এসময় উজেলার খৈসাইর এলাকায় নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা হানজালা টেক্সটাইলের পাকা দেয়াল ও টিনশেড ঘর, রেডিয়েন্ট শিপইয়ার্ডের সেমিপাকা টিনশেড ঘর, এস এস ফুডের কারখানা, ৯ ইটভাটার দেয়াল, সেমিপাকা ও টিনশেড ঘর সহ প্রায় অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয় সংস্থাটির ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া জব্দকৃত মালামাল মোট ৮ লাখ ৮১ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইডবিøউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহসহ বিআইডবিøউটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া একটি ভেকু, জাহাজ অগ্রপথিক, একটি টাগবোট, একটি স্পীডবোট, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য, উচ্ছেদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা মোরশেদের মালিকানাধীন ট্রিপল সেভেন ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত মালামাল ১ লাখ ৩৮ হাজার, বিল্লাল হোসেনের মালিকানাধীন এমআরএম ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত মালামাল ৮৪ হাজার, আওলাদ হোসেনের মালিকানাধীন এম এস কে ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত মালামাল ৩৮ হাজার, হারুন ইউসুফ বুলবুলের মালিকানাধীন এইচইউবি ব্রিকফিল্ড ও এনবিএম ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত মালামাল ১ লাখ ৫০ হাজার, আবুল বাশার রতনের মালিকানাধীন এমএসবি ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত মালামাল ৯৬ হাজার, শাওনের মালিকানাধীন এএবি ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত মালামাল ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
এছাড়া লে. কর্ণেল (অব) ফয়জুল আকবরের মালিকানাধীন হানজালা টেক্সটাইলের পাকা দেয়াল, টিনশেড ঘরসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত মালামাল ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। পরে বেলদি এলাকায় রেডিয়েন্ট শিপইয়ার্ডের সেমিপাকা টিনশেড ঘর, এস এস ফুডের কারখানা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
বিআইডবিøউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল জানান, উচ্চ আদলতের নির্দেশে নদীকে অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। অবৈধ দখলদাররা যতো প্রভাবশালী হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না এবং উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন........