আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:সিদ্ধিরগঞ্জে যুব মহিলা লীগ নেত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষনের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই যুব মহিলালীগ নেত্রী বাদী হয়ে মঙ্গলবার(৮ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও সন্ত্রাসী শরিফুর রহমান পারভেজ (৪৫)। তবে বর্তমানে সে নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দেয়। এদিকে ধর্ষণে সহযোগিতা করায় সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার নুরু সেক্রেটারীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৬) কে মামলায় দুই নাম্বার আসামী করা হয়েছে এবং আজ বিকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই যুব মহিলালীগ নেত্রীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে মিজিমিজি আবদুল আলী পুল এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শরিফুর রহমান পারভেজ। এতে ওই নারী নেত্রী দুই মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সে বিয়ে করার কথা বললে অস্বীকৃতি জানায় পারভেজ। এরপর ওই নেত্রী গত ৬ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে পারভেজের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
পুলিশ অভিযুক্ত পারভেজকে ধরতে রাতেই তার বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে তাকে বাড়িতে পায়নি। অভিযুক্ত পারভেজ সাতখুনের ঘটনায় নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের অন্যতম অস্ত্রধারী ক্যাডার ছিল বলে এলাকাবাসাী জানিয়েছে। ২০০১ সালের নিবার্চনের পর পালানোর সময় মিজমিজি ধনুহাজী রোডের তাকে আটক করে গণপিটুনী দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে ঢাকায় আগ্মগোপন করে। এরপর ২০০৮ সালেল ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ২০০৯ সালের মে মাসে এলাকায় ফিরে আসে পলাতক নজরুল ইসলাম। ওই সময় তার সাথে পারভেজও এলাকায় ফিরে আসে। ২০১৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সে নজরুল ইসলামের ক্যাডার হিসেবেই তার কর্মকান্ড চালিয়েছে।
স্থানীয় এলাকবাসী আরো জানান, সন্ত্রাসী পারভেজ মিজিমিজির জহির মাডারসহ একাধিক হত্যা এবং বিভিন্ন পরাধে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। যা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ অনুসন্ধান করলেই জানতে পারবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত পারভেজের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........