আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ছোট অর্জুন্দী গ্রামের শাহিন দপ্তরীর ছেলে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী পলাশ (১৩) গত ১৪ জুন রোববার বিকেলে শরীরে বোরখা ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।পুলিশ নিহত পলাশের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পলাশ আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে এ নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে নানান গুঞ্জন।
জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতিদিনের ন্যায় পলাশ গত ১৪ জুন রোববার বিকেলে ক্রিকেট খেলতে যায়। ক্রিকেট খেলার ফাকে বাড়িতে পানি খেতে গিয়ে মাঠে ফিরে না আসায় তার সাথে থাকা অন্যান্য লোকজন ও মায়ের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হলে পলাশের মা একা বাড়িতে গিয়ে দেখে পলাশ আত্মহত্যা করেছে।এ সময় তার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দেখতে পায় বোরখা পরিহিত পলাশ তার মায়ের কোলে মৃতপ্রায়।
এলাকাবাসী উদ্ধার করে পলাশকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানার পুলিশ নিহত পলাশের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
এলাকাবাসী জানান, নিহত পলাশ সহজ সরল মনের হিসেবে আমরা তাকে চিনি। ঘটনার দিন মোগরাপাড়া সরকারি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে তাকে খেলতে দেখা গেছে। হঠাৎ সে ঘরে গিয়ে বোরখা পড়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে এবং লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। কিন্তু পলাশের মা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে তাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সে যদি বোরখা পড়ে থাকে তাহলে সেই বোরখা কোথায় এবং ওড়নাটাই বা কোথায়? আমরা ধারনা করছি পুলিশ তার মাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা জানতে পারবে।
আপনার মতামত লিখুন........