আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পাকুন্দা এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার (১৭ অক্টোবর) রাতে আহত মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীরের মেয়ের জামাই আশিকুর রহমান রানা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীর বুধবার বিকালে স্থানীয় সনাতন ধর্মের একটি লক্ষ্মী পূজার অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরুর সমর্থক সামসুদ্দিন খান আবু, লিপন চৌধুরী ও আমীর হোসেন পাকুন্দা পাকা রাস্তার ওপর তার গতিরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীর প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে সামসুদ্দিন খান আবু, লিপন চৌধুরী, আমীর হোসেন, মামুন মিয়া, মোতালিব মিয়া ওরফে টারজেন, আমিনুল ইসলাম ও মোক্তারসহ ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
পরে তার ডাক-চিৎকারে ছেলে রোমান ও রুবেল তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরও কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীরসহ তার ছেলেদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রোমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় আহত মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীরের মেয়ের জামাই আশিকুর রহমান রানা বাদী হয়ে বুধবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যার উদ্দেশ্যে ডা. বিরুর লোকজন আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমার ছেলে রুমান মিয়া বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সামসুদ্দিন খান আবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন মেম্বারসহ তার পরিবারের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে আমরা জড়িত নই।’
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনিরুজ্জামান জানান, মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন........