আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে এ তদন্ত কাজ শুরু করেন। গত সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা জামাল মোল্লার সাক্ষী গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ সেলিম রেজা।
সাক্ষী প্রদান শেষে মুক্তিযোদ্ধা মো. জামাল মোল্লা বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে’ প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা অনুসারে চাষাবাদের জন্য মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামে তার জমির পাশে একটি অনাবাদি ও অকৃষি জমির বন্দোবস্ত পেতে তিনি সোনারগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে একটি আবেদন করেন। আবেদনের পর র্দীঘ ৮ মাসের অধিক সময় ফাইলটি ভূমি অফিসেই পরে থাকে। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে ওই অফিসের সার্ভেয়ারের সহযোগী হিসেবে কাজ করা ওমেদার মো. সোহাগ কাজ করিয়ে দেয়ার কথা বলে আমার কাছে ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, গত ১৬ জুলাই ভূমি অফিসে গিয়ে ফাইল আটকে ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রতিবাদ করেন। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন আমাকে অপমান করে ওই অফিস থেকে বের করে দেন। এবিষয়ে মন্ত্রিপরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। তদন্তে আমাকে অনেক কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমি এর সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেছি।
এব্যাপারে সোনারগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন জানান, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আমি সবসময় মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান নিবেদন করে থাকি। তাছাড়া আমিও একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এবিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, সাক্ষী নিয়েছি। তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানাবো হবে।
আপনার মতামত লিখুন........