আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ও জামপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদে হরিহরদী সেতু নির্মাণ হলে পাল্টে যাবে ৫ ইউনিয়নের মানুষের জীবনযাত্রা। কিন্তু নির্ধারিত সময়েও সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের।
জানা যায়, জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর, চরতালিমাবাদ, রাজাপুর ও সনমান্দী ইউনিয়নের দড়িকান্দি, হরিহরদী, টেমদী, বিজয়নগর, আলমদী, দক্ষিণপাড়া, মুসুরদী, আটিবাড়ি, খৈতেরগাঁও, ছনকান্দা, দড়িকান্দী, লেদামদী, সনমান্দী, ফতেপুর, ফতেপুর দড়িকান্দী, গাঙ্গুলকান্দী, নোয়াকান্দীসহ ৪০ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছিল বাঁশের সাঁকো। আর বর্ষা মৌসুমে চলে নৌকা। বর্ষা মৌসুমে খেয়া পার হতে গিয়ে নৌকা ডুবে ঘটছে হতাহতের ঘটনাও। এতে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত খোকা ২০১৮ সালে ৫ মে হরিহরদী সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সোনারগাঁ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পিপিএল কিউসি নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছয় কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৫৭০ টাকা ব্যয়ে হরহরদী সেতু নির্মাণ করে। সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শুরু হলেও শেষ হওয়ার কথা রয়েছে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারিতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেতুর ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
সুমন মিয়া নামে স্থানীয় এক স্কুলছাত্র জানান, সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় আমাদের খেয়া পার হতে হয়। এতে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটছে। তাই দ্রুত সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।
হরিহরদী গ্রামের আবু হোসেন জানান, হরিহরদী সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে ৫ ইউনিয়নের প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে সেতুটির নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না।
পিপিএল কিউসি স্বত্বাধিকারী আব্দুল গাফফার জানান, সেতুটির নির্মাণ কাজ ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি আগামী মার্চের মধ্যে সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে।
সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ জানান, হরিহরদী সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে আমার ইউনিয়নের বাসিন্দাসহ আশপাশের ইউনিয়নের ৪০ গ্রামের মানুষ সুবিধা পাবে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনের তুলনায় কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর কারনেই সেতুর কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হয়ে দীর্ঘসময় লাগছে।
সোনারগাঁ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আলী হায়দার খান জানান, হরিহরদী সেতুর কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে আশা করছি ২০২০ সালের মার্চ মাসে সেতুর কাজ শেষ হবে।
আপনার মতামত লিখুন........