আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃবাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পুরস্কারে (২০২০) মনোনীত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। বৃহস্পতিবার ( ২৯ অক্টোবর) রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মানজনক এই পুরস্কার বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক গ্রহণ করেছেন। সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের কাছ থেকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০’ গ্রহণ করেন গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।
এ বছর যারা স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন- প্রয়াত কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ, প্রয়াত মুহম্মদ আনোয়ার পাশা ও আজিজুর রহমান।
চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. এ কে এম এ মুক্তাদির। সংস্কৃতিতে কালীপদ দাস ও ফেরদৌসী মজুমদার।এ ছাড়া শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমস এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছে।স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক স্বীকৃতি।১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে সরকার। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ১৩ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইনে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক ১৯৪৮ সালের ১৪ আগস্ট বৃহত্তর ঢাকা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম গোলাম কিবরিয়া গাজী। মায়ের নাম শামসুনেচ্ছা বেগম। তিনি পড়াশুনা শুরু করেন পুরান ঢাকার বিদ্যাপিঠে। মাধ্যমিক পাস করার পর ভর্তি হন নটরডেম কলেজে। পরে ১৯৬৮ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। ছাত্র থাকা কালীন সময়ে গোলাম দস্তগীর গাজী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নিবার্চন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এর সব ঘটনায় জীবনবাজী রেখে লড়াই করেছেন তিনি।
ছাত্র অবস্থায় গোলাম দস্তগীর গাজী বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। তিনি ২ নং সেক্টরের অধীনে রণাঙ্গণে যুদ্ধ করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার শহরে প্রধান গেরিলা বাহিনী ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম কমান্ডার ছিলেন । তার নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযান সমূহের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো ঢাকা ওয়াবদা ভবন গ্রেনেড হামলা, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বোমা বিস্ফোরণ, রামপুরার উলন ৩৩ কেভি বিদ্যুত স্টেশন ধ্বংস , রূপগঞ্জ উপজেলার ইছাপুরা এলাকায় এবং ঢাকার ত্রিমোহনীতে পাকিস্থান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করেছে। তিনি ছিলেন গেরিলা যোদ্ধা।
আপনার মতামত লিখুন........