আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লায় করোনায় মৃত্যদের দাফন গ্রুপ “নবযোদ্ধা”র ১০ম লাশের দাফন কাজ সম্পন্ন করলো। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় মোঃ হাফিজুল্লাহ মাস্টার (৯০) মৃত্যুবরণ করলে, মৃত ব্যক্তির লাশ গোসল ও দাফনে কাউকে পাওয়া না গেলে ফতুল্লায় করোনায় মৃতদের দাফন গ্রুপ “নবযোদ্ধা” স্বেচ্ছায় লাশের দাফন কাজে অংশগ্রহণ করেন। মৃতের পরিবার স্বেচ্ছায় দাফনকাজ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী কমিটির কাছে ফোন দিলে তারা যেয়ে দাফনের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করেন।
নিহত মোঃ হাফিজুল্লাহ মাস্টার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও ২ ছেলে রেখে যান।
নিহতের বড় ছেলে মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, তার বাবা বাধক্যজনিত কারনে আজ সন্ধ্যায় মারা গেলে ফতুল্লায় দাফনে স্বেচ্ছাসেবী কমিটির সাথে ফোনে কথা বলি এবং তারা এসে দাফনের সকল কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে দেন।
এ বিষয়ে নবযোদ্ধার স্বেচ্ছাসেবী মোঃ এ এইচ আশু বলেন, নিহতের পরিবার নবযোদ্ধা টীমকে ফোন দিলে আমরা মৃতের বাসায় যাই। তারপর গোসল ও কাফনের কাজ সম্পন্ন করি। রাত ১০ টায় বাহার আলী মসজিদে জানাজার নামাজ সম্পন্ন হলে দাফন করার জন্য এম্বুল্যান্সে করে লাশ রামগঞ্জ, লক্ষিপুরে পারিবারিক কবরস্থানে নিয়ে যায় মৃতের পরিবার। সমস্তকাজ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন সাহেবকে অবগত করা হয়।
নবযোদ্ধার আরেক সেচ্ছাসেবী ডাঃ মোঃ মাসুম হোসেন বলেন, আমরা ফতুল্লার সকল মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি, সকলের অবগতির জন্য বলছি, কোন এলাকায় দাফন কাজ করার জন্য লোক পাওয়া না গেলে নিন্মলিখিত নাম্বারগুলোতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মোবাইল নাম্বারঃ ০১৯১১ ৪০৪০২০, ০১৮১২ ১৫৩১১১, ০১৮৩১ ৫৪৫৩৫৫, ০১৮৩৫ ৮৬৪৭৩৬।
সেচ্ছাসেবী মোঃ ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রতিটি দাফনের ক্ষেত্রে আমরা মৃতের কবরস্থ করার অথবা লাশ অন্য জেলায় নেওয়ার প্রয়োজনে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে দেই। তাই আপনারা মৃত ব্যক্তির সঠিক তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন।
উক্ত দাফন কাজে অংশগ্রহণ করেন; সেচ্ছাসেবী আঃ সাত্তার, হাফেজ রোমান, মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ফরহাদ হোসেন, ডাঃ মাসুম হোসেন এবং মোঃ এ এইচ আশু।
আপনার মতামত লিখুন........