নারায়ণগঞ্জশুক্রবার , ৩০ অক্টোবর ২০২০
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

সিদ্ধিরগঞ্জে গণধর্ষণে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, গ্রেপ্তার ৫

Alokito Narayanganj24
অক্টোবর ৩০, ২০২০ ৭:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পাঁচ মাস আগে গণধর্ষণের শিকার ১৬ বছরের এক কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা। আজ শুক্রবার সকালে তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। পরে গতকাল রাতেই এজাহারে উল্লেখিত পাঁচ আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷

মামলার বরাত দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, ৬ মাস আগে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়াদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। লজ্জায় ও আসামিদের হুমকিতে দীর্ঘদিন চুপ ছিল সে। সম্প্রতি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানায়, সে ৫ মাস ৪ দিনের অন্তঃসত্ত্বা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় কিশোরীর মা লিখিত অভিযোগ দিলে পাঁচ আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জের রমজান আলীর ছেলে উজ্জ্বল রানা (২০), একই উপজেলার সাটিয়া এলাকার সাতারুল হোসেনের ছেলে তাজেল ইসলাম (১৬), নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ কদমতলী গ্যাসলাইন হাজী হুমায়ূন কবিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত বাবুল হাওলাদারের ছেলে মো. জালাল (২১), ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার আব্দুল্লাহপুর এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে আব্দুল আজিজ হাওলাদার ওরফে মিন্টু হাওলাদার (৫৫) এবং তার স্ত্রী বিলকিস হাওলাদার। আসামিরা সকলেই সিদ্ধিরগঞ্জ কদমতলী গ্যাসলাইন এলাকার হাজী হুমায়ূন কবিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, বাদী ও তার স্বামী সন্তানদের নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত উল্লেখিত অভিযুক্তদের সঙ্গে পাশাপাশি ঘরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। গত ২৮ অক্টোবর তারা বাড়িটি পরিবর্তন করে তাদের বর্তমান ঠিকানায় ভাড়াটিয়া হিসেবে চলে আসে। গত ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভুক্তভোগী কিশোরী তাদের রুমের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় আসামি জালাল ও বিলকিস হাওলাদার ওই কিশোরীকে কথা বলার জন্য বিলকিসের ঘরে নিয়ে যান। পরে আসামি উজ্জ্বল রানা ও তাজেল ইসলামকে রুমে ডেকে এনে কিশোরীর সঙ্গে রেখে বাইরে চলে যান তারা। দরজা বন্ধ করে উজ্জ্বল রানা ও তাজেল ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ফলে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিলকিস দোকান থেকে ওষুধ কিনে এনে কিশোরীকে খাওয়ান। এরপর সে কিছুটা সুস্থ হলে মিন্টু হাওলাদার, বিলকিস ও জালাল কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখান। লজ্জায় এবং ভয়ে গণধর্ষণের ঘটনা সে কাউকে জানায়নি।

নির্যাতনের শিকার কিশোরীর মা জানান, তিনি মেসবাড়িতে রান্না করেন। তার স্বামী একজন রিকশাচালক। অভাবের সংসারে তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। নির্যাতনের শিকার তার বড় মেয়ে গ্রামের একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। করোনাকালীন সময়ে তাকে গ্রাম থেকে শহরে এনে তাদের সঙ্গে রাখেন। গত এপ্রিলে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি ও তার স্বামী কাজে বাইরে ছিলেন।

তার অভিযোগ, আসামি উজ্জ্বল রানা ও তাজেল ইসলাম তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন এবং সহযোগিতা করেন অন্য তিন আসামি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই কিশোরীর মা  বলেন, ‘আমি একেবারে গরীব মানুষ। জামাইডা কামকাইজ ঠিকমতো করে না। লকডাউনের মধ্যে এত কষ্টে ছিলাম তাও কোনোদিন মাইয়ারে কামে দেই নাই। সারাদিন বাইরে কাম করি। তার মইধ্যে এই ঘটনা আমি ধারণাও করি নাই। পরশু দিন মাইয়া অসুস্থ হইয়া পড়লে অনেক জোরাজুরির পর এই কথা জানায়। পরে হাসপাতালে নিয়া দেখি ৫ মাসের গর্ভবতী।’

আসামিপক্ষ এ ঘটনার মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘অনেক কষ্ট কইরা মাইয়ারে বড় করছি। কয়বছর পর বিয়া দিতে চাইছি। হেই মাইয়ার লগে এমন নির্যাতন। হেরা কয় মীমাংসা করতে। আমি মীমাংসা চাই না, শাস্তি চাই।’

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!