নারায়ণগঞ্জসোমবার , ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

সোনারগাঁয়ে ঔষুধ স্টোরের সামনে পাবলিক টয়লেট!

Alokito Narayanganj24
ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯ ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার উন্নয়ন প্রকল্পকে বিতর্কিত করতে সরকারি ঔষুধ স্টোরের সামনে পাবলিক টয়েলেট নির্মানের স্থান নির্ধারন করেছেন সোনারগাঁও স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা ও হাসপাতালের আরএমও ডা. সজিব রায়হান। এতে পুরো সোনারগাঁয়ের ঔষুধে মারাত্মক জীবানু প্রবেশ করে সোনারগাঁবাসীর জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়বে।
সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র এর স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা ও আরএমও ডা. সজিব রায়হানকে অপসারন করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। স্থানীয়রা বলেন, এই দুই অপদার্থ ডাক্তার সোনারগাঁয়ের চিকিৎসা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিবে। ঔষুধ এমনিতেই ভালোভাবে রাখতে হয়। তারা ডাক্তার হয়ে কিভাবে টয়েলেটে ঔষুধ রাখতে চায়। তাদের মত অপদার্থ ডাক্তারদের জন্য স্বাস্থ্য সেবার এ অবস্থা।
জানা গেছে, সোনারগাঁও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান ঔষুধ স্টোরের রাস্তায় দেয়াল ঘেষে পাবলিক টয়েলেট নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম পাবলিক টয়েলেট অন্যত্র নির্মানের জন্য লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। অপরিকল্পিত ও অস্বাস্থ্যকরভাবে একটি ঔষুধ স্টোরের সামনের রাস্তায় পাবলিক টয়েলেট নির্মান হলে মারাত্মক হুমকিতে পড়বে জনস্বাস্থ্য। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝেও সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা গেছে, নারায়নগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা জনস্বার্থে সোনারগাঁয়ের জনগুরুত্বপূর্ন স্থানে ৬টি পাবলিক টয়েলেট নির্মানের ব্যবস্থা করেন। এর মধ্যে একটি পাবলিক টয়েলেট সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্মানের অনুমতি দেয়া হলেও নির্ধারন করা হয়নি স্থান। সোনারগাঁবাসীর জনস্বাস্থ্য হুমকিতে জেনেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা ও হাসপাতালের আরএমও ডা. সজিব রায়হান গোপনে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ঔষুধের স্টোরের সামনের রাস্তায় ও দেয়াল ঘেষে পাবলিক টয়েলেট নির্মানের স্থান নির্ধারন করে কাজ শুরু করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সাংসদের উন্নয়ন প্রকল্পকে বিতর্কিত করতেই এই কাজ করেছেন টিএইচও ও আরএমও।
জানা গেছে, ওষুধ তৈরিতে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করা হলেও সংরক্ষণ দুর্বলতায় এর গুণাগুণ অনেক সময় নষ্ট হয়। ওষুধ সংরক্ষণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও বাংলাদেশে তা মানা হচ্ছে না। নীতিমালায় সংরক্ষণ কক্ষের আর্দ্রতা ৬০ শতাংশের নিচে রাখার কথা বলা হয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষ সংরক্ষণ কক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র থাকার কথাও বলা হয়েছে নীতিমালায়। তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে আছে কিনা, সেজন্য কক্ষের একাধিক স্থানে থার্মোমিটার রাখার কথা বলা হয়েছে। সর্বোপরি কক্ষের আয়তনভেদে রাখতে হবে এক বা একাধিক রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার। এ থেকে উৎপাদিত তাপ বের করে দেয়ার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে একাধিক এগজাস্ট ফ্যানের। শুধুমাত্র সংরক্ষণের গাফিলতিতে রোগ নিরাময়ের ওষুধ কখনও কখনও বিষ হয়ে ওঠতে পারে।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষিত ঔষধে সহজেই জীবাণু আক্রমণ করতে পারে। যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর ঔষুধ স্টোরের দেয়াল ঘেষে পাবলিক টয়েলেট নির্মানে বন্ধ হবে ঔষুধ স্টোরের ভেন্টিলেটার এবং খুব সহজেই মারাত্মক জীবাণু সংক্রামন হবে স্টোরে রাখা ঔষুধে। আর এই ঔষুধ ব্যবহারের ফলে মারাত্মক হুমকিতে পড়বে জনস্বাস্থ্য।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পদ্ধতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, আইইউডি, ইমপ্লানন। এই পদ্ধতি শরীরে ১০বছর, ৫ বছর থাকার পর পুনরায় খুলতে হয়।
এদিকে, ওয়াশরুমে বংশবিস্তার করে এমন কয়েকটি ক্ষতিকর জীবাণু হলো- পাকস্থলি ও অন্ত্রের রোগ সংশ্লিষ্ট ভাইরাস, আণবিক প্যাথোজেন, ত্বকের রোগের জীবাণু, শ্বাসণালীর রোগ সংশ্লিষ্ট জীবাণু, ক্ষুদ্র ছত্রাক। এছাড়াও ঊ.পড়ষর, চংবঁফড়সড়হধং ধবৎঁমরহড়ংধ, ঝঃধঢ়যুষড়পড়পঁং ধঁৎবঁং, ঊহঃবৎনধপঃবৎ এর মতো বিপজ্জনক জীবাণুও ওয়াশরুমে জন্ম নেয়। টয়েলেটে বিপজ্জনক কোনো ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে তা সহজেই ঔষুধ স্টোরে ছড়িয়ে যেতে পারে। এবং খুব সহজেই মানবদেহের বিতরে প্রবেশ করে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, এমনটাই বললেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুর রব (এমসিএইচ-এফপি)
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবার পরিকল্পনা স্টোরে পুরো সোনারগাঁয়ের ঔষুধ মজুদ রয়েছে। আর এই জীবনরক্ষাকারী ঔষুধ সোনারগাঁবাসী ব্যবহার করবে। এই জায়গায় পাবলিক টয়েলেট হলে স্টোরের ঔষদ ব্যবহার করে পুরো সোনারগাঁবাসীর জনস্বাস্থ্য হুমকির মধ্যে ফেলতে পারি না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কুমার সাহা বলেন, আমরা চারটি স্থান নির্ধারন করি। এর মধ্যে একজায়গায় একটি গাছ কাটতে হয়, অন্য আরেক জায়গায় পানির পাম্প রয়েছে, অন্য আরেক জায়গায় ৫০ শয্য হাসপাতাল হবে। তাই পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ঔষুধের স্টোরের সামনে করতে হচ্ছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশলী বিভাগের উপ-প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, আমি ইতিমধ্যে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ঔষুধের স্টোরের সামনের পাবলিক টয়েলেটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সংসদ সদস্যর সাথে আলোচনা করে পুনরায় কাজটি চালু করবো। তবে, জায়গা নির্ধারন করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, তাদের আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিলো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুর রহমান খানকে একাধিকবার মোবাইলে কল করলেও তিনি রিসিভ করেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!