নিজস্ব সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের জরাজীর্ণ ভবনটি যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে। এবং ঘটতে পারে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা। স্বাধীনতার পরপর একতলা ভবন নির্মাণ করা হলেও কোন সংস্কার না করায় বর্তমানে প্রায় অর্ধ শত বছরের পুরনো ভবনটি জীর্ণ শীর্ন অবস্থায় রয়েছে। জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক, ইউএনও, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শন করলেও কোন উন্নয়ন হয়নি পুরাতন ভবনটিতে।
জানা যায়, স্বাধীনতার আগে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের গঠন করা হয়। এ পর্যন্ত ১৬ জন চেয়ারম্যান বিভিন্ন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন, মোঃ সদর উদ্দিন, বর্তমানে দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আলহাজ্ব মোঃ নওশেদ। যিনি সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত হলেও তিনিও নতুন ভবন নির্মানে ব্যর্থতার পরিচয় দেন।
স্বাধীনতার আগে ও পরে যারা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, কফিলউদ্দিন মুন্সি, আফছার উদ্দিন মুন্সি, মুজাফফর আলী শিকদার, আবুল কাশেম বেপারী, আরব আলী ফকির, আঃ গফুঁর চৌধুরী, কছিমউদ্দিন আহম্মেদ, আব্দুর রহমান মিয়া, রমিজউদ্দিন মাস্টার, ডাঃ মোছলেহ উদ্দিন আহম্মেদ, আঃ জলিল শিকদার, মজিবর রহমান শিকদার প্রমুখ। এরা কেউ আধুনিক ভবন নির্মানের উদ্যোগ নেননি।
২০১৮ সালের ৩ জুন জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন পরিদর্শন করেন। ভবনটির বেহাল দশা দেখে বলেন,সরকারী অনুদান হোক,এমপি বা ধনী ব্যাক্তির সহযোগিতা নিয়ে আধুনিকায়তন করা হবে। কিন্তু আজো পর্যন্ত পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে নতুনভাবে নির্মান করার কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ন ভবনটিতে ইউপি সচিব মাহবুবুর রহমান, তথ্য কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ রোমান অফিসিয়ালি কাজ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী ও ইউপি মেম্বাররা জানান,স্বাধীনতার পরপর একতলা ভবনটি নির্মান করা হয়।প্রায় অর্ধশত বছর হলেও কোন ধরনের সংস্কার করা হয়নি। বৃষ্টি এলে হাটুঁ পর্যন্ত পানিতে জমে থাকে ভবন। বার বার চেয়ারম্যানসহ জেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অথচ ৩০ শতাংশ জমি রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব।
মৃত্যুর ভয়ে অনেক মেম্বার ইউপি ইউনিয়ন কার্যালয়ে আসতে চান না। যে কোন সময় ভবনটি ধ্বসে পড়ার ভয়ে।
মেম্বাররা ভবনটির বিষয়ে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের সাথে কয়েক দফা দেখা করেছেন। তিনি নিজস্ব অর্থায়নে বহুতল ভবন নির্মান করে দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তারপরও কোন ব্যবস্থা নেননি এমপি মহোদয়।
সচেতন এলাকাবাসী অঘটন ঘটার আগে নতুন ভবন নির্মানে এমপি সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নওশেদ আলী বলেন,ইউপির জমি নিয়ে স্কুলের সাথে একটু বিরোধ রয়েছে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে চিঠি দিয়েছেন। সেখান থেকে ঝামেলা মুক্ত হলে ইউপির নতুন ভবন নির্মান করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন........