আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক জামায়াতের নেতাকর্মীদের ছাড়াতে গেলেন ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ ফাইজুল ইসলাম। শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সকাল সোয়া ১০ টায় জেলা ডিবি কার্যালয়ে আটক জামায়াতের নেতাকর্মীদের ছাড়াতে যান। পরে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের জেরার মুখে ফিরে আসেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ফতুল্লা থানা আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হওয়া সত্বেও জামায়াতের নেতাকর্মীদের ছাড়াতে যান। পরে ব্যর্থ মনে ছাড়াতে না পারলে চলে আসেন।
শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ নবীগঞ্জ গুদারাঘাট হতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জামায়াতের আমির কাউসার আহম্মেদ, হেলিকপ্টার হুজুর বলে খ্যাত জৈনপুরী পীর এনায়েতউল্লাহ আব্বাসীর ভাই এমদাদ উল্লাহ আব্বাসী, মোঃ মিশনুর রহমান, সাইদুর রহমান, লোকমান হোসেন, মোক্তার হোসেন, জসিমউদদীন, মোঃ রবিন, মোঃ রফিক, লুৎফর রহমান প্রমুখকে আটক করে।
ডিবির এসআই প্রকাশ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে উল্লেখ করে নাশকতা মামলা দায়ের করেন
মামলার অপর আসামীরা হলেন, জামায়াত নেতা মাইনুদ্দিন, মোঃ জাকির হোসেন, আবু সাঈদ, আবুল কালাম আজাদ, বাহার উদ্দিন ও মোঃ বদিউজ্জামাল বাদল।
অপরদিকে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফাইজুল ইসলাম ডিবি অফিসে বক্সি নোয়া গাড়ি নিয়ে এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর সাথে জামায়াতের নেতাকর্মীদের ছাড়াতে যাওয়ার ঘটনায় নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাদের দাবী খোদ প্রধানমন্ত্রী নিজে যেখানে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা কারীদের বিরুদ্ধে সেখানে ফাইজুলের মতো নেতাদের ডিবি অফিসে ছাড়িয়ে আনতে যাওয়া ঠিক হয়নি।
শামীম ওসমানের ঘনিষ্ট লোক পরিচয় দেয়া ফাইজুলের এহেন কর্মকান্ডে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শামীম ওসমানের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে ফাইজুলের কারনে। ফাইজুলের জামায়াতের নেতাকর্মীদের ছাড়িয়ে আনতে যাওয়ার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান অনেকে।
এ ব্যাপারে আলহাজ্ব মোঃ ফাইজুল ইসলাম মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। আমার এলাকাতে এমন কোন ঘটনা ঘটেনিঅ তাছাড়া ওদেরকে কেনইবা আমি ছাড়াতে যাবো।
আপনার মতামত লিখুন........