নারায়ণগঞ্জশুক্রবার , ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

ডিজে পার্টি নামক এই যন্ত্রণার অবসান জরুরি!

Alokito Narayanganj24
ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯ ৫:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : সানজানা (ছদ্মনাম) প্রেগন্যান্ট। ইদানীং রাত নয়টার মধ্যে না ঘুমালে খুব খারাপ লাগে। ঘুমে ব্যাঘাত ঘটলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা ফুটে ওঠে। এসবের মধ্যে বমি হওয়া, হাত পা জ্বালা পোড়া করা, মাথা ব্যথা অন্যতম। সানজানার বাসা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ভূঁইয়াপাড়া সংলগ্ন হোসাইনি নগরে। রাত তিনটা বাজে তখন। সানজানার বাসা থেকে সামান্য দূরে কোথাও হাই ভলিউমে ডিজে বাজছে। সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয়েছে ডিজে পার্টি। কিছুটা দূরে হওয়া সত্ত্বেও উচ্চস্বরের কারণে ঘুমানো অসম্ভব হয়ে গেছে। গর্ভবতী অবস্থায় এমন নিদারুণ যন্ত্রণা কতটা কষ্টকর তা বলে বোঝানো যাবে না। এই অসহায়ত্ব জাহেলী যুগকেও ম্লান করে দেয়। এই ঘটনাটা গতরাতের।
গত সপ্তাহে মোবারক সাহেব রাত চারটা পর্যন্ত জেগে ছিলেন। পাশের বাসায় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ডিজে পার্টির কড়া শব্দ নির্যাতনের শিকার হয়ে নির্ঘুম কাটাতে হয়েছে মোবারক সাহেবকে। যার বাড়িতে আদরের ছোট নাতির কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে বাসার সবাইকে কথা শুনতে হয় আজ সারারাত না ঘুমাতে পারার জন্য অসহায়ের মতো চুপচাপ বসে থাকতে হয়েছে তাকে। সময়ের এই নিষ্ঠুর বাস্তবতা সারারাত ভাবিয়েছে মোবারক সাহেবকে। সারাটা রাত সে ভেবেছে “এ কেমন দেশে আছি আমরা!” “দেশে কী আইন বলে কিছু নেই!!” “এভাবে পুরো এলাকার মানুষকে সারারাত ধরে বিরক্ত করে যাবে, চুপচাপ সবাইকে তা সয়ে যেতে হবে!!” বিরক্তি আর ক্ষোভ নিয়ে ফজরের নামাজ পড়েই ঘুমাতে হয়েছিল তাকে।
এমন হাজারো দীর্ঘশ্বাস ফেলা প্রশ্ন বিলীন হচ্ছে বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে। প্রতি সপ্তাহান্তে প্রতি মহল্লার কোথাও না কোথাও অনুষ্ঠানে রাতভর ডিজে পার্টির অত্যাচারে অতিষ্ঠ মানুষ। মহল্লার কারো সাথে সম্পর্কের অবনতি হবে ভেবে চুপচাপ এসব সহ্য করে যায় মানুষ। মূলত প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা এমন আয়োজন করে থাকে বলেও অনেক সময় এসব নিয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় মানুষ। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাড়া থাকার কারণেও কেউ এসব নিয়ে প্রতিবাদ করাটা বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখে। তাই সব কষ্ট নিরবে সয়ে যায়।
আইনের আশ্রয় নিতেও অনাগ্রহ রয়েছে মানুষের। এমতাবস্থায় আইনের বিকল্প পথ কি সে বিষয় জানা গেছে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর অধীনে ২০০৬ সালে শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এই বিধিমালার ৯ ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পেয়ে আবাসিক এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মানমাত্রা অতিক্রম করতে পারবে না। আবাসিক এলাকায় দিনের বেলায় ৫৫ ডেসিবেল ও রাতের বেলায় ৪৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ অতিক্রম করতে পারবে না। তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে খোলা বা আংশিক খোলা জায়গায় বিয়ে বা অন্য কোনো কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে গান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, কনসার্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক বা অন্য কোনো ধরনের সভা, মেলা, যাত্রাগানের অনুষ্ঠান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে অনুষ্ঠান আয়োজককারী ব্যক্তিকে পুলিশ কমিশনার বা সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদন মঞ্জুর হলে দৈনিক ৫ ঘণ্টা শব্দের মানমাত্রা অতিক্রমকারী যন্ত্র বাজানো যাবে এবং রাত ১০টার পরে তা আর বাজানো যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!