আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে মারা যাওয়া এক পোশাক শ্রমিকের মরদেহ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের বৃআঙ্গারু গ্রামে শনিবার (১১ এপ্রিল) গভীর রাতে এনে গোপনে দাফনের চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে দাফনে বাধা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন এসে রাতেই মরদেহটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। নমুনা সংগ্রহের জন্য মৃত ব্যক্তি ও তার স্ত্রীসহ চার আত্মীয়কে নিয়ে গেছে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন। রবিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ শামসুজ্জোহা।
শাহজাদপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ শামসুজ্জোহা জানান, নারায়ণগঞ্জে মারা যাওয়া আব্দুর রহিম (৫০) নামে এক পোশাক শ্রমিকের মরদেহ এনে শনিবার গভীর রাতে নিজ গ্রামে দাফনের চেষ্টা করেন তার স্বজনরা। এলাকার লোকজন এতে বাধা দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন মৃতদেহটি উদ্ধার করেন।
শাহজাদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম খান জানান, মরদেহ ও স্বজনদের আপাতত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালেই রাখা হয়েছে। তিনি আরো জানান, শনিবার দুপুরে আব্দুর রহিমকে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান। স্বজনরা ওই ব্যক্তির ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়েছেন। তাতে স্পষ্ট লেখা আছে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনার আগেই ব্রডডেথ বা বাড়িতে মারা গেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে মারা যাওয়া পোশাক কর্মী ও তাদের চার আত্মীয় ও মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সর চালকসহ পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
রবিবার সকালে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের মেডিক্যাল টিম মৃত পোশাককর্মী ও তাদের আত্মীয়দের নমুনা সংগ্রহ করেন। এ ছাড়া মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং যথানিয়মে মরদেহ দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, মরদেহটি আনার পর পুলিশকে তার পরিবারের লোকজন জানায়নি। পরে এলাকাবাসী তাদের খবর দেন।
(সূত্র:কালের কন্ঠ)
আপনার মতামত লিখুন........