নারায়ণগঞ্জসোমবার , ১৫ অক্টোবর ২০১৮
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

পুলিশ অপরাধ দমনে জিরো ট্রলারেন্স অবলম্বন করবে

alokitonarayanganj
অক্টোবর ১৫, ২০১৮ ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়নগঞ্জ ২৪ ডট কম : নারায়ণগঞ্জকে অপরাধ মুক্ত রেখে একটি শান্তিপূর্ণ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ জিরো ট্রলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাদক সহ যেকোন প্রকার অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ জিরো ট্রলারেন্স ভূমিকা পালন করবেন। জিরো বলতে জিরো জিরো জিরো। রবিবার ১৪ অক্টোবর দুপুুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান অপরাধ দমনে পুলিশ জিরো ট্রলারেন্স ভূমিকা রাখার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পুলিশ সুপারের এমন প্রস্তাবে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া সহ উপস্থিত সকলেই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন।

সভায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা সংসদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী।

সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বিভিন্ন বিষয়ের উপর তার পরমার্শ মূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। যার মধ্যে নগরীর যানজট নিরসন, ফুটপাতে অবৈধ দখল, শারদীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষ্যে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পূজার সময় দর্শনার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে মন্ডপ পরিদর্শন করতে পারে সেজন্য সন্ধ্যার পর নগরীতে রিকশা সহ যান চলাচলের ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করেন।

আলোচনায় যানজটের বিষয়টি উঠে আসলে সেলিম ওসমান বলেন, নগরীতে যানজট নিরসন করা কিভাবে সম্ভব হবে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে খিস্ট্রানদের বড়দিনের উৎসবের দিন পূর্বের পুলিশ সুপার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে শহরের সমস্ত ফুটপাত দখল মুক্ত করে দেন। পরবর্তীতে এমন প্রশংসনীয় কাজের ক্রেডিট অন্য কেউ নেওয়ার চেষ্টা করে। মানবিক দিক বিবেচনায় আমিও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত হকারদের বসতে সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছিলাম। তখন অনেকেই এটা নিয়ে রাজনীতি করতে এসেছিল। কিন্তু এখন আর এ বিষয়ে কেউ কোন কথা বলেন না।

সিটি কর্পোরেশন থেকেও লিখিতভাবে জেলা প্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসনের কাছে সহযোগীতা চান কি? দিন দিন যখন শহরে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন শহরের অলিগলিতে ডিভাইডার বসানো হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ কলেজ আর নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলের সামনে ডিভাইডার বসানো হয়েছে। এতে যানজট আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। কি কারনে এমন করা হচ্ছে জানতে চাইলে বলা হয় মেগাপ্রজেক্ট।

তিনি আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নাগরিকদের সুযোগ সুবিধার সকল দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের উপর। সেখানে অন্য কোন জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনকি কর্মকর্তা কাজ করতে গেলে এনওসি প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে তেমন কোন সহযোগীতাই পাচ্ছি না। আশা করবো এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করলে সকল সমস্যা সমাধানের একটা রাস্তা বের করা সম্ভব হবে।

শারদীয় দূর্গা পূজা সম্পর্কে তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দূর্গা পূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব এবং উনারা সেই দায়িত্ব সঠিক ভাবেই পালন করবেন। পাশাপাশি আমরা সকলেই পারস্পারিক সহযোগীতার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দূর্গা উৎসব উদযাপন করবো। নারায়ণগঞ্জ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি শহর। শনিবার লাঙ্গলবন্দে সেটি আবারো প্রমান করেছেন বন্দরের মানুষ। আমি প্রস্তাব রেখে ছিলাম দূর্গা পূজায় সময় যাতে দর্শনার্থীরা যানজট মুক্ত শহরে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করতে পারে সেজন্য সন্ধ্যার পর শহরের চাষাঢ়া থেকে বঙ্গবন্ধু সড়কের ট্রাক, বাস ও রিকশা চলাচল বন্ধ রাখা যেতে পারে।

তবে এ ব্যাপারে পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করতে হবে। কিন্তু এখনো কোন প্রকার আবেদন আসে নাই। আমি অনুরোধ রাখবো সবার সাথে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পরিস্কার একটি সিদ্ধান্ত নিতে আপনারা সহযোগীতা করবেন।

মাদক বিষয়ে তিনি বলেন, শুধু মাদক মাদক বলে বক্তব্য রাখলেই হবে না। নিদিষ্ট করে মাদক ব্যবসায়ীদের নাম বলতে হবে। বলতে অসুবিধা হলে গোপনে লিখিতভাবে জেলা প্রশাসনকে তথ্য দিবেন তারপর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দায়িত্ব উনাদের। আর এখন বাবা মায়েরাই সন্তান মাদক সেবী হলে পুলিশকে তথ্য দিয়ে ধরিয়ে দিচ্ছেন। দেশদ্রোহী কর্মকান্ডে জড়িত হলে নিহত হওয়ার পর তাদের লাশ পর্যন্ত নিতে চান না। তাই সময় এসেছে এসব অপরাধীদের নাম উল্লেখ করা এবং বাবা মায়েরা যদি একটু সচেতন হোন এবং সহযোগীতা করেন তাহলে মাদক মাদক বলে আর বক্তব্য রাখতে হবে না।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল জেলা আদালত প্রাঙ্গনে একটি ভ্রাম্যমান আদালত স্থাপন করার পরামর্শ প্রদান করেন। সেই সাথে তিনি আদালত প্রাঙ্গনে একটি প্রতারক চক্রের কথা উল্লেখ করেন যারা, বিভিন্ন মানুষকে ভূয়া মামলা দিতে হয়রানী করে থাকেন। ওই চক্র টাকার বিনিময়ে মামলার ভিকটিম, সাক্ষী, কাবিন নামা সব কিছুই সরবরাহ করে থাকেন। এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন। সেই সাথে ফতুল্লা, পাগলা, সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গড়ে উঠা নকল জুসের কারখানাগুলো ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব রাখেন।

জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা সিভিল সার্জন এহসানুল হক, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বীনা, বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু ব্যাপারী সহ অন্যান্য কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!