আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকায় ধর্ষণের শেল্টারদাতাদের নিয়ে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে জাহিদুল ইসালাম জনি। কবরীর ক্যাডার হিসেবে পরিচিত জনি এক সময় বিএনপির সমর্থক ছিলেন। কবরী এমপি হওয়ার পর হঠাৎ করে আওয়ামী লীগার বনে যায়। নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ফতুল্লার জুট সেক্টর। এ নিয়ে যুবলীগ নেতা মোক্তার হোসেন ও রহিম উদ্দিনের সাথে দ্বন্ধে জড়িয়ে পরে। অভিযোগ ওঠে জমি দখলসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের। সম্প্রতি ফতুল্লার শাহজাহান রোলিং মিল এলাকায় কয়েল কারখানার শ্রমিক গণধর্ষের সাথে জড়িত ৬জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ফতুল্লা পুলিশ। কিন্তু ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের শেল্টারদাতা অটো হানিফ ও পিচ্ছি রাজু হাজী জনির শেল্টারে বহাল তবিয়তে রয়েছে। স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, অটো হানিফ ও পিচ্ছি রাজু দু’জনই এলাকায় হাজী জনির ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হাজী জনি বিশেষ পেশার কিছু ব্যাক্তির নাম ব্যবহার করে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের স্ব শরীরে উপস্থিত রেখে এলাকায় কিংবা থানায় প্রভাব বিস্তার করে থাকে। জনির সাথে স্থানীয় বেশ কিছু বখাটে, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের সখ্যতা রয়েছে। অটো হানিফ ও পিচ্ছি রাজুর নেতৃত্বে একদল কিশোর অপরাধী জনির শেল্টারেই এলাকায় মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে।
জনির ক্যাডার অটো হানিফ ও পিচ্ছি রাজু এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। এছাড়া বটতলাসহ আশপাশের এলাকায় কর্মরত গামেন্টর্স শ্রমিকরা মাস শেষে বেতনের টাকা নিয়ে ফেরার পথে প্রায় সময় এই বাহিনীর হাতে ছিনতাইয়ের শিকার হয়। শাহজাহান রোলিং মিল থেকে রেলাইন বটতলা এলাকা জুড়ে হাজি জনির ক্যাডারদের অবাধ বিচরণে সূর্য ডুবলেই এই পথ দিয়ে চলাচল করতে ভয় পায় গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এসব অপরাধীদের শেল্টারদাতা হিসেবে জনির নাম উঠে আসলে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস করছে না ভুক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার এবং র্যাব সদস্যদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে এলাকার সচেতন মহল। এ ব্যাপারে জনির সাথে মোবাইলে(০১৯১৭৬১৯৮৪০) যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
আপনার মতামত লিখুন........