নারায়ণগঞ্জবুধবার , ১২ ডিসেম্বর ২০১৮
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

ফতুল্লায় অষ্টম শ্রেনির ছাত্রী অপহরণ

Alokito Narayanganj24
ডিসেম্বর ১২, ২০১৮ ১১:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনির ছাত্রী জান্নাতুল আক্তার মিষ্টি (১৩)কে জোর পূর্বক অপহরণ করেছে জহিরুল ইসলাম ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা। এ ঘটনায় গত ১২ ডিসেম্বর ফতুল্লা মডেল থানায় মিষ্টির‘র বাবা নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-৩৭(১২)১৮। মামলার এজাহার ভূক্ত আসামী রাজিয়া বেগম (৪৫) ও তার ছেলে রেজাউল (২৬) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদেরকে ঐদিন ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে ।

মামলা সূত্রে জানাযায়, ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেনিতে পড়ালেখা করে জান্নাতুল আক্তার মিষ্টি । সে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানাধীন চম্পাপুর মাছুয়াখালী গ্রামের মৃত হাশেম হাওলাদারের ছেলে নাসির উদ্দিনের মেয়ে। তারা ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর পাইলট স্কুল রোড আয়াত আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকে। পাশেই লিটনের বাড়িতে ভাড়া থাকে জহিরুল ইসলাম (২২) ও তার পরিবার। সে পটুয়াখালী জেলা কলাপাড়া থানাধীন লালুয়া চান্দুপাড়া গ্রামের মোঃ তাজেম আলী হাওলাদারের ছেলে জাহাঙ্গির হাওলাদারের ছেলে । সে মিষ্টি‘র চলার পথে বিভিন্ন সময় জহিরুল ইসলাম প্রেম প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাব না মানলে সে অপহরন করে নেয়ার হুমকী দিতো।

এ ব্যাপারে মিষ্টি তার বাবা নাসির উদ্দিনের কাছে জানালে নাসির জহিরুলের বাবা জাহাঙ্গির ও মা রাজিয়াকে জানায়। এতে রাজিয়া ও জাহাঙ্গির এবং জহিরুল ইসলামের বড় ভাই রেজাউল ক্ষিপ্ত হয়ে নাসিরকে গালমন্দ করে। এমনকি তারা বিয়ের প্রস্তাব দেয়।

তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে তারা গত ৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮ টায় জহিরুল ইসলাম তার মা বাবা ও ভাইয়ের ইন্দন ও পরামর্শে জান্নাতুল আক্তার মিষ্টি কে বাসার সামনে থেকে জোর পূবর্ক অপহরন করে নেয়। এই ঘটনায় ফতুল্লা থানায় নাসির বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ আসামী রাজিয়া বেগম ও রেজাউল কে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত রাজিয়া সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলের সাথে জান্নাতুল আক্তার মিষ্টি‘র ভালবাসার সম্পর্ক আছে। মিষ্টিকে অপহরন করেনি জহিরুল ইসলাম। মিষ্টি জহিরুল ইসলামের সাথে স্বেচ্ছায় চলে গেছে। তারা বিয়ে করেছে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনার সাথে সে জড়িত নয়।

গ্রেপ্তারকৃত রেজাউল জানান, মিষ্টি ও তার খালা লিপি পরিকল্পিত ভাবে ভালবাসার টানে দুই জনেই একই দিনে চলে যায়। লিপি ও তার প্রেমিকের সাথে বিয়ে করে এবং মিষ্টি ও তার প্রেমিক জহিরের সাথে বিয়ে হয়। কিন্তু আমি ও আমার মা কিছুই জানিনা।

পুলিশ জানান, ভিকটিম উদ্ধার হয়নি। তাই ভিকটিম উদ্ধারের জন্য রিমান্ড চেয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!