ফতুল্লা প্রতিনিধি: ফতুল্লার ধলেশ্বরী নদীতে ডাকাতদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের গুলিতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ডাকাত দলের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বক্তাবলী নৌ পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে (৭ জানুয়ারী) ফতুল্লার বক্তাবলী ফেরী ঘাটের উত্তর পার্শ্বে কনকর্ড তেল পাম্পের পূর্ব পাড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
বিষয়টি শনিবার (৭ জানুয়ারী) দুপুরে নিশ্চিত করেন বক্তাবলীর নৌ-পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ নান্নু মিয়া।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানা এলাকার কাশেম খানের ছেলে ময়না খান (৩০), একই জেলার কামারগাও গ্রামের মোজ্জামেল হকের ছেলে মো. বাবুল হক (৫৫), মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকার শাহ জাহানের ছেলে মো. আরাফাত হাওলাদার (৩০),ফরিদপুর জেলার সদরপুর এলাকার সুমন বেপারীর ছেলে মো. হারুন বেপারী (৫৫), একই জেলার মৃত তানিজ বেপারীর ছেলে হৃদয় খান (২১), ঢাকা জেলার দোহার এলাকার রাসেল বেপারীর ছেলে শাহ আলম (৫০),ফরিদপুর জেলার মদুকালী এলাকার মৃত আব্বাস শেখের ছেলে মো. শাহ জাহান (৫২), মাদারীপুর জেলাট শিবচর এলাকার জুয়েল হাওলাদারের ছেলে মো. সোজাত হাওলাদার (৪০)।
পুলিশ জানায়, ফতুল্লার বক্তাবলী ধলেশ্বরী নদীতে একটি ট্রলারে ডাকাতি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যায়। তাদের দেখে একটি ট্রলারে থাকা ১২/১৫ জন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে মুক্তারপুরের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে পুলিশও ৩ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করেন। এসময় পুলিশের ২ জন সদস্য আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহতরা হলেন, বক্তাবলী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই হাবিবুর রহমান ও কনস্টেবল আনোয়ার সুলতান। আটককৃতদের কাছ থেকে রামদা, শাবল, কাটার সহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ৮ জনকে আটক করলেও বাকী ৪/৫ জন সদস্য পালিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
বক্তাবলীর নৌ-পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ নান্নু জানান, তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়েছিল। ধলেশ্বরী নদীতে একটি ট্রলারে জোর করে তাদের কাছ থেকে তেল ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল। তখন স্থানীয় লোকজন আমাদের খবর দেয়। আমরা ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স সহ যাই। তারা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আমরাও পাল্টা গুলি ছুড়ি।আমরা তিন রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করি।তখন তারা নদীতে লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা করে । তখন আমরা স্থানীয় লোকদের সহায়তায় তাদের ৮ জনকে হাতে নাতে আটক করি। আমাদের ২ জন পুলিশ সদস্যও এ ঘটনায় আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাত দলের ৪/৫ জন নদীতে লাফিয়ে পড়ে কৌশলে পালিয়ে যায়। তাদের ব্যবহৃত একটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........