নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লা থানাধীন এলাকায় প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বহারা হচ্ছে সাধারন নারী যাত্রীরা। ফতুল্লার পাড়া মহল্লায় এখন অজ্ঞান পাট্টির সদস্যরা অভিনব কায়দায় প্রতিনিয়তভাবে প্রতারক চক্ররা তাদের প্রতারণা করে যাচ্ছে।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, ১০ ডিসেম্বর সোমবার সকালে লালপুর পৌষার পুকুরপাড় এলাকায় অজ্ঞাতনামা দুই মহিলা এ্যামিটিশন কানের দুল হাতে ধরিয়ে জয়নাল মিয়ার স্ত্রী হাজেরার কাছ থেকে নগদ ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এসময় অজ্ঞাত নামা প্রতারক চক্রের দুই সদস্য বলে তাদের বাড়িতে মা মারা গেছে তাই জামালপুর যাবে। এজন্য টাকার প্রয়োজন তাই ৬ আনার কানের দুল বিক্রি করে। এসময় আরেক প্রতারক নিজেকে স্বর্নকার পরিচয় দিয়ে ঐ প্রতারক মহিলাকে সাপোর্ট করে। পরে তারা টাকা নিয়ে তিনজনই পালিয়ে যায়।
এর আগে শনিবার বিকেলে ফতুল্লার রেল লাইন এলাকায় বোরকা পরিহিত দুই মহিলা প্রতারক নিজেকে কবিরাজ পরিচয় দিয়ে চিকিৎসার নাম করে রাহিমা বেগমের কাছ থেকে নগদ ১ হাজার টাকা ও একটি বার্টন মোবাইল সেট নিয়ে যায়। রাহিমা কাঠ মিস্ত্রি রাজা মিয়ার স্ত্রী। বুধবার সন্ধ্যায় ফতুল্লার লালপুর এলাকায় এক নারী ও এক পুরুষ জামিলা বেগমের কাছ থেকে স্বর্নের তিন আনার স্বর্ণের কানে দুল খুলে নিয়ে যায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। এসময় লবনের প্যাকেট ধরিয়ে চলে যায়।
গত ১০/১২ দিন আগে ফতুল্লা ইস্রাফিল হোসেন সরকার সড়ক এলাকায় ইলেট্রিক্স মিস্ত্রী বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী সুমি আক্তারের কাছ থেকে অভিনব কায়দায় অজ্ঞাতনামা তিন প্রতারক সদস্যরা ক্যামিলে দেখিয়ে নগদ ৮০ টাকা ও ছয় আনা ওজনের একটি চেইন ও তিন আনা ওজনের একজোড়া কানের দুল নিয়ে যায় প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
সুমি জানায়, সে ফতুল্লা আনন্দ বাজার দেলোয়ার প্রধানের বাড়ির সামনে ইচা মাছ কিনতে গেলে ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সী একটি ছেলে এসে কেমিক্যাল দেখিয়ে টাকা চায় এসময় আরেক ভদ্রলোক কেমিক্যাল দেখিয়ে নিজের মোবাইল ও নগদ ৫ হাজার টাকা দেয় এবং সুমিকে বলে এই কেমিক্যাল আমি ও আপনি কিনে বিক্রি করবো সমানে সমান ভাগ করে টাকা নেব। তখন সুমি বলে আমার কাছে টাকা নাই তখন ঐ লোকটি বলে আপনার কানের দুল ও চেইন দেন। পরে বিক্রি করে টাকা ভাগ করে নেব। ছেলেটিকে বিদায় দেই। তা নাহলে মানুষে জানলে ঐ ছেলের কাছ থেকে কেমিক্যাল নিয়ে যাবে। এরপর সুমি তার স্বর্ন দিয়ে দেয়। এরপর চোখের পলকে ঐ ভদ্রলোক পালিয়ে যায়।
এভাবে প্রতিনিয়ত প্রতারক চক্রের শিকার হচ্ছে ফতুল্লা থানাধীন এলাকার নিরীহ মহিলারা। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ফতুল্লাবাসী।
আপনার মতামত লিখুন........