নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লা থানাধীন এলাকায় বিদ্যুতের ভেলকিবাজীতে গ্রাহকরা অতিষ্ট এবং শিল্পাঞ্চলে উৎপাদনে ধস নেমেছে বলে জানান ব্যবসায়ী মহল। মাস শেষে বিদ্যুতের বিলের টাকা ঠিক মতো পরিশোধ করলেও লোডশেডিংয়ের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ফতুল্লার বিদ্যুত গ্রাহকরা।
ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের কারণে বিদ্যুৎ বিল এবং লোডশেডিংয়ে ছাড়ছেনা ফতুল্লাবাসীকে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নে কিছু সুযোগ সন্ধানীরাই সরকারের ভাব মূর্তি ক্ষূন্ন করার লক্ষেই নিয়মিত জনগণের কাছে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এভাবে লোডশেডিং সৃষ্টি করছে। সরিষার মধ্যে ভূত রয়েছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল মিটার থাকা সত্ত্বেও গ্রাহকের মিটার না দেখে মিটার রিডারেরা তারা তাদের ইচ্ছে স্বাধীন ইউনিট বসিয়ে বিল দেখাচ্ছে। এমন প্রতারনার কবলে পড়ে অনেক গ্রাহকই বিল পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছে। অতীতে দেখা গেছে এই মিটার রিডারেরা ভুতোরে বিল দেখিয়ে ফায়দা লুটেছে।
ফতুল্লার শিল্প ও আবাসিক এলাকায় বিদ্যুতের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এখানে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কারখানায় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করছে এবং বিদ্যুৎ যথেষ্ট পরিমানে না পাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এত করে মালিক, শ্রমিক ও রপ্তানীর ভীষন ক্ষতি সাধন হচ্ছে। অপরদিকে, সরকারও রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে শ্রমিক শ্রেণীরই ক্ষতি সাধন হচ্ছে বেশি। সামনে এসএসসি পরীক্ষা থাকায় এই লোডশেডিং নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা সেই এ্যানালগের হ্যারিকেন কেরোসিন তেলের প্রদ্বীপ এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়ালেখা সম্পন্ন করে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, ফতুল্লা বাজার, লালপুর, পৌষার পুকুরপাড়, দাপা ইদ্রাকপুর ঋষিবাড়ী, রওশন হাউজিং, কোতালেরবাগ, সস্তাপুর, কায়েমপুর শিবুমাকের্ট, পোষ্ট অফিস সরদারবাড়ি মসজিদ এলাকায় অন্যান্য এলাকার চেয়ে সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হয়।
ফতুল্লা বিদ্যুৎ অফিসের কন্ট্রোল রুম থেকে জানা যায়, বিদ্যুতের লাইনে কাজ করা হচ্ছে বলে সাময়িক এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। দুই একদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
এলাকাবাসীর দাবী, বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টিসহ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ.কে.এম শামীম ওসমান বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবেন কি ?
আপনার মতামত লিখুন........