আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : যারা আমাদের সন্তানদের বিনা কারনে মারধর করে রক্তাক্ত করেছে এবং রামারবাগ এলাকায় দোকান-পাট ভাংচুর করে লক্ষাধীক টাকা লুটপাট করেছে তাদের শাস্তির দাবী করে সংসবাদ করলো রামারবাগ এলাকাবাসী ও আহতদের স্বাজনরা। রবিবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মলেন করেন সংর্ঘষের ঘটনায় আহতদের স্বজনরা। ন্যায় বিচার দাবি করার পাশাপাশি এলাকার নিরাপত্তা ও শান্তি ফেরানোর জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান গুরুতর আহত আজিমের পিতা গফুর মিয়া।
এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের গফুর মিয়ার আরো জানান, নিজেরা রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও জাতীয় নির্বাচনে একটি পক্ষের হয়ে কাজ করার জেরে এ আক্রমনের শিকার হয়েছে বলে দাবী করেন। আজিমকে ডেকে নিয়ে আজমত ও গিয়াসউদ্দিন বলেছে তাদের সঙ্গে মিটিং মিছিল করার জন্য। আর যদি না করে তাহলে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকী দেয়। কুতুব আইল কাঠের পুল এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু র্দীঘদিন ধরে তার এলাকার বাইরের স্কুল কমিটিগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছিলেন।
আহত আকাইদের বাবা রাজ্জাক বলেন, আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক স্পিড বোট ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের পরামর্শে জাতীয় নির্বাচনে কার্যক্রম পরিচালনা করি। জাতীয় নির্বাচনে শাহ নিজামের হয়ে সাংসদ শামীম ওসমানের পক্ষে কাজ করায় আমার ছেলে আকাইদের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো গেসু। নির্বাচনের পর তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছিলো সে। স্কুল কমিটিগুলোতে প্রভাব বিস্তার করতে না পেরে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো সে এবং তার বাহিনী। এরই জের ধরে বাইরের এলাকা থেকে এসে আমাদের রামারবাগে এ হামলা করেছে। এমনকি এলাকায় শতাধীক দোকান-পাট ও ঘরবাড়ি ভাংচুর করে ১লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা লুটে নিয়ে যায়।
গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান, আমরা ঝুট ব্যবসার সাথে জড়িত নই। গিয়াসউদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু, তার ছোট ভাই জুট ব্যবসায়ী আজমত, মুরাদ, রাজিব, নজরুল, জসীম ও হেলাল রামারবাগ এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি বলেই দেশী ও বিদেশী অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। শুধু তাই নয় তারা অন্য এলাকা থেকে এসে রামারবাগে মাদকের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে কাজ করছিলো। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি। একই সাথে রামারবাগ এলাকায় নিরাপত্তা ও শান্তি ফেরানোর দাবি জানান।
ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলনে, এলাকায় হামলার পর ওসি মঞ্জুর কাদেরকে ঘটনাটি জানায়। এরপর তিনি এলাকায় গিয়ে দেখেন আহতদের হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। হামলাকারীদরে কেউ ওই সময় ছিলোনা। তিনি প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতির সাথে জড়িত না এবং স্পিড বোট তৈরি করে সরবরাহকারী হিসেবে ব্যবসা করেন।
রামারবাগে হামলার ঘটনার পর তিনি বিষয়টি সাংসদ শামীম ওসমানকে জানিয়েছেন। সাংসদ এ বিষয়টি দেখবেন বলে তাকে আশ্বাস দিয়েছে। গিয়াস উদ্দনি ওরফে কাইল্যা গেসুর সাথে তার কোন বিরোধ নেই বলেও জানান।
উল্লেখ্য, ফতুল্লার রামারবাগ এলাকায় ২২ র্মাচ রাতে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপরে সংর্ঘষের ঘটনায় প্রায় ১৫ জন আহত হয়। ঘটনার পরদিন ফতুল্লা মডেল থানায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দনি ওরফে কাইল্যা গেসু, তার ছোট ভাই আজমত আলী, ভাতিজা মমিন হোসেন মুরাদ, রাজিব, সজিব, জুয়েলসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আজিমের বাবা আব্দুল গফুর।
সংবাদ সম্মলেনে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আজিমের বাবা আব্দুল গফুর, ফুফু সেলিনা, সিথী, আহত আকাইদের বাবা আব্দুর রাজ্জাক, খালা শাহিদা, ফুফু রওশন আরা, রহিমা আক্তার জেঠি, আহত নাজমুলের মামা রাজ্জাক এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিটি পুলিশের সহ-সভাপতি ও ফতুল্লা থানা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন........