নারায়ণগঞ্জশনিবার , ২৩ মার্চ ২০১৯
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

ফতুল্লায় সংঘর্ষের ঘটনায় কাইল্যা গেসু ও আজমতসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

Alokito Narayanganj24
মার্চ ২৩, ২০১৯ ৯:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ও ঝুট সন্ত্রাসী গিয়াসউদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু এবং তার ভাই যুবলীগ নেতা আজমত আলীসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৩ মার্চ শনিবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় ওই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আজিমের বাবা আব্দুল গফুর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায়, হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গেসু ও আজম ছাড়া মামলায় আসামী করা হয়েছে মনির হোসেন মুরাদ, রাজিব, সজিব, জুয়েল, খন্দকার শাওন, জসিম, আশ্রাফ, ফয়সাল, রিপন, নাঈম, দেলোয়ার, শাকিল, হৃদয়, শহিদ, ইমন, সোহেল, সানি, রাজু, তাহের আলী, সোলেয়মান, রহিম বাদশা, শামীম, ডালিমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকার কাইল্যা গেসু আজমত গ্রুপের সাথে রামারবাগ এলাকার স্পীডবোর্ড ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল গ্রুপের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই জের ধরে শুক্রবার রাতে ফতুল্লার রামারবাগ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে আজিম (৩২) সে তার বাড়ির সামনে অবস্থানকালীন আজমত-গেসুর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আজিমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে গেসু-আজমত বাহিনীর লোকজনের হাতে থাকা ধারালো রাম দা দিয়ে বেশ কয়েকজনকে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে আহত করে। গেসু-আজমত বাহিনীর হামলার শিকার হয়ে মোস্তফা কামাল গ্রুপের লোকজন দৌঁড়ে দোকানের ভিতর প্রবেশ করলে তাদের হাতে থাকা লাঠিসোটা ও চাপাতি দিয়ে ওই সব দোকান ও বাড়ি-ঘর ভাংচুর চালায়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সন্ত্রাসীরা চাউলের আড়ৎ, কেমিক্যালের দোকান ভাংচুর করে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এছাড়াও এলাকার সাধারণ লোকজনের শতাধিক বাড়ি ও দোকান ঘর ভাংচুর করে। এদের মধ্যে গফুর মিয়ার ভাড়াটিয়া বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়। এ বাড়িতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের থাকার ৪টি টিনের ঘর কুপিয়ে ছিন্নভিন্ন করে লুটে নেয়া হয় আসবাবপত্রসহ টাকা পয়সা। আর সংঘর্ষে আহত হয় আনুমানিক ১৫জন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতাল এবং নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা কাঠেরপুল এলাকার গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাইল্যা গেসু-আজমত বাহিনী সরকারি দলের নাম ব্যবহার করে কুতুবআইলের শিল্পাঞ্চলের গার্মেন্টসের ঝুট সেক্টর একক ভাবে প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। এ জন্য তাদের রয়েছে বিশাল একটি বাহিনী। মূলত এই বাহিনী দ্বারাই এই অঞ্চলের ঝুট সেক্টর তারা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে নাজেহালের শিকার হতে হয়। এছাড়াও এই বাহিনী ঝুট সেক্টর ছাড়া এই অঞ্চলের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করে বলেও অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদী গফুর জানান, গিয়াস উদ্দিন তার লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করতে থাকে। এসময় আমার ছেলে আজিম (৩২) এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তার মাথায়, হাতে ও পায়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তখন আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে আকাইদ (১৮) ও ভাগিনা নাজমুল (৩০) এগিয়ে আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করে গিয়াস উদ্দিন ও তার লোকজন। তিনি আরো বলেন, বাড়িতে হামলা চালানোর পর আমার চাউলের আড়তে হামলা চালিয়ে এক লাখ ৭৩ হাজার টাকা লুটে নেয় এবং বস্তায় কুপিয়ে ১০ লাখ টাকার চাউল ক্ষতি করে। একই সময় আমার কেমিক্যাল রাখার গোডাউনসহ শতাধিক দোকানপাট ভাংচুর করে আরো এক কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। গফুর বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার ভাতিজি জামাই আবুল হাসেম, ভাতিজা আল আমিন, নাতি এমরান, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী শান্তনা বেগমকে পিটিয়ে আহত করেছে। তাদের প্রত্যেককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোঃ মঞ্জুর কাদের জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একপক্ষের মামলা দায়ের হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!