নারায়ণগঞ্জরবিবার , ৫ মে ২০১৯
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

ফতুল্লা বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে!

alokitonarayanganj
মে ৫, ২০১৯ ১১:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ জেলার বুড়িগঙ্গা তীরে ঐতিহ্যবাহী ফতুল্লা বাজার। এই বাজারে বহু দূর-দূরান্ত থেকে কাঁচা সবজি ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যাদি আমদানী হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের সকল জেলায় যখন শীতের মৌসুমে সবজি তরিতরকারি ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য মূল্যহৃাস পেয়েছে। ঠিক তখনই ফতুল্লা বাজারে প্রচুর আমদানী সত্ত্বেও তরিতরকারি ও নিত্য প্রয়োজনীয়-তে যেন অগ্নিমূল্য। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা চোখ বুঝে ক্রেতা সাধারণের পকেট কেটে নিচ্ছে।

শিল্প আবাসিক এলাকার এই বাজারের দ্রব্য মূল্য নিয়ে স্বল্প বেতনভোগী সাধারণ মানুষের ভোগান্তি তুঙ্গে। নারায়ণগঞ্জের শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত ফতুল্লা থানার বক্তাবলী পরগণা ও মুন্সিগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ-এর বাকতারচর, ঢাকার কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও কাঁচাবাজার আমদানী করা হয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে খাদ্যদ্রব্য আমদানী করা হয় ফতুল্লায়। তবুও দাম কমছে না এই বাজারের খাদ্যদ্রব্য মূল্যে। প্রতিদিন ভোর ৪টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত আজাদ প্লাজা থেকে বন্ধু মহল ক্লাব-এর সামনের রাস্তা পর্যন্ত বিশাল তরিতরকারির বাজার বসে। এখান থেকে বিভিন্ন তরকারি ব্যবসায়ীরা তাদের ভ্যান ও ইজিবাইক যোগে বিভিন্ন বাজারে সবজি নিয়ে বিক্রি করছে। সবজি ফেরিওয়ালারাও পাড়া-মহল্লায় ফেরী করে বিক্রি করছে। বিভিন্ন বাজারে কম দামে বিক্রি করলেও ফতুল্লা বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রচুর দাম হাঁকছে তরিতরকারিতে। মূল্য বৃদ্ধির কারণেই দিন দিন বাজারে ক্রেতা সাধারণের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এতে করে ফতুল্লা বাজার-এর ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। দিনদিন পাড়া মহল্লায় ফেরীওয়ালাদের মিনি বাজার গড়ে উঠছে।

অতীতে ফতুল্লা থানার এই ঐতিহ্যবাহী বাজারে মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে বাজার করতে আসতেন। ফতুল্লা বাজার থেকে দৈনন্দিন বাজার করতে হতো। এখন পাড়া-মহল্লায় ছোট ছোট বাজার গড়ে উঠেছে। ছোটখাটো মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত বাজার গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন জায়গায় কাশিপুর, বিসিক, পঞ্চবটি, বউবাজার, দাপা, শিবু মার্কেট, মাওলা বাজার, ফাজিলপুর, পাগলা, মাসদাইর, লালপুর, পৌষার পুকুরপাড়, আলামিনবাগ, টাগারপাড়, পাচঁতলা কলোনী, গাবতলী, শিষমহলসহ অনেক জায়গায় গড়ে উঠেছে। এইসব বাজারের বিক্রি মূল্য তালিকা কিংবা সরকারি কোনো মনিটরিং নেই।

এব্যাপারে ফতুল্লা বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী দেলোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আপনি যেটা বললেন সেটা আমি প্রথমে শুনলাম। পবিত্র রমজান মাসকে উপলক্ষ্য করে ২দিন পূর্বে ডিসি অফিসে একটি মিটিং হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে যেন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য যেন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই থাকে। আমরা আজ বাজার ও আশপাশের এলাকায় মাইকিং করেছি যেন ব্যবসায়ীরা কোন প্রকার অনিয়ম না করতে পারে। যদি এমন কোন গুরুতর অভিযোগ আপনাদের কাছে থাকে তাহলে আমাদের অবশ্যই জানাবেন আমরা ওই দোকানীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

বাজারের দোকানের মূল্য থেকে বাইরে ফুটপাতের দর ছিল বরং ৫-১০ টাকা বেশি। আসলে এই বাজারে দোকানদাররা একটা সিন্ডিকেট তৈরি করে ব্যবসা করছে বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ। সমস্ত দায়টা যেন বাজার কমিটি ও বাজার নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপরে গিয়ে পড়ছে। সত্যিকার অর্থে “কেউ দেখেও, না দেখার ভান করছে” বলে এমনটাই সাধারণ মানুষের অভিযোগ। এব্যাপারে সাধারণ ক্রেতারা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!