আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : বন্দরের লাঙলবন্দের স্নানঘাটগুলো পরিদর্শন শেষে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, আমাদের কাছে কোন ঝুঁকি নাই। কিন্তু এ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে আমরা পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রেখেছি। তাছাড়া যান চলাচলে কোন ঝামেলা যাতে না হয় সে ব্যবস্থাও আমরা নিয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসবে। তাই প্রতি বছরের মতো এবারো আমাদের সিকিউরিটি প্লান রয়েছে। এবার আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
যেহেতু ২০১৫ সালে একটা ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আপনারা, সে কারণে আমাদের এখানে প্রায় ১৬শ পুলিশ এখানে কাজ করবে। তিন শিফটে কাজ করবে তারা। এখানে প্রায় ১৮টা স্নান ঘাট আছে। প্রতিটা স্নানঘাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পর্যাপ্ত মহিলা পুলিশ থাকবে মহিলা পুন্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য। পাশাপাশি চেকপোস্ট, মোবাইল পার্টি থাকবে৷ আমাদের অত্যাধুনিক কন্ট্রোল রুম থাকবে এবং ৮টা ওয়াচ টাওয়ারও করেছি। এছাড়া নৌ পুলিশের টহলও থাকবে।
আগামী ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য মহাতীর্থ লাঙলবন্দ স্নান উৎসব উপলক্ষে বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে লাঙলবন্দে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের দেয়া প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, সবকিছু মিলিয়ে এটা যেহেতু একটি উৎসব সুতরাং পুন্যার্থীদের সাথে সাথে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরাও এ উৎসব পালন করবে। পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকির মাধ্যমে এ উৎসবটি পালিত হবে বলে আমরা আশা করি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, চলবে ৷ কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিন্টু বেপারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অঞ্চল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম, পরিদর্শক (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম, মহাতীর্থ লাঙলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার, যুগ্ম সম্পাদক উত্তম সাহা প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন........