আলোকিত নারায়নগঞ্জ ২৪ ডট নেট : বন্দরে ৩ শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জনকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন ও পুড়িয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে মদনপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড সদস্য খলিল মেম্বার ও তার সান্ত্রাসী বাহিনীর উপর। বুধবার বিকেলে থানার মদনপুর এলাকার খলিল মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন, নারায়নগঞ্জ পাইকপাড়া এলাকার সালাহউদ্দিনের স্ত্রী মনি বেগম,তার ৭বছরের শিশু সুমি,৯বছরে শিশু মারুফ ও ৩ বছরের ছেলে মুক্তাদির। এ ব্যাপারে মনি বেগম বাদি হয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, আহত মনি বেগম একজন ভিক্ষুক। বুধবার দুপুরে অসহায় মনি বেগম খলিল মেম্বারদের বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার বাড়িতে দুপুরের খাবারের জন্য আকুতি করে এবং সেখানে সে ৩ সন্তানদের নিয়ে দুপুরের আহার করে। পরে তিনি ভিক্ষার উদ্দেশ্যে মদনপুর সিএনজি স্ট্যান্ড এর সামনে পৌছালে অজ্ঞাত কয়েকজন যুবক তাদের চোর আখ্যা দিয়ে মেম্বাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
পরে সেখানে একটি আম গাছে বেধে মনিকে রড দিয়ে পিটিয়ে মোবাইল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার ব্যর্থ স্বীকারোক্তি নেয়ার চেষ্টা করে। পরে খলিল মেম্বার বাড়িতে এসে মনি বেগমকে একটি কক্ষে নিয়ে বলেন,’আমি তো মেম্বার তাই আমার বাড়িতে চুরি হওয়াটা অসম্মানের। তোমাকে বরং ৫ হাজার টাকা দেই তুমি মোবাইল ফেরত দিয়ে দাও’ প্রতুত্তরে মনি বেগম বলেন, আমি মোবাইল চুরির সাথে একদম জড়িত নই। এরপর শুরু হয় মেম্বার বাহিনীর নরপশুতা।
মনি বেগম জানায়, চুরির ব্যাপারটি অস্বীকার করার পরপরই শুরু হয় তাদের মধ্যযুগীয় নির্মমতা। মনিকে ঘরে আটকে রেখে তার ৭ ও ৯ বছরের ২ সন্তানকে লাঠিসোটা দিয়ে পেটাতে থাকে, একপর্যায় মেম্বার বাহিনীর সদস্যরা লোহার গরম খুন্তি দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থান ঝলসে দেয়। ছাড় পায়নি তার ৩ বছরে ছোট্ট মুক্তাদি। মুক্তাদিকে তার মায়ের সামনে গলা চেপে ধরেও চুরির ব্যাপারটি স্বীকারের ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালায় তারা। পরিশেষে ইয়াবা দিয়ে মামলা ও ধর্ষনের ভয় দেখিয়ে আরো একধাপ চুরি যাওয়া মালামালের সন্ধান চান মেম্বার খলিল। কৌশলে তারা পালিয়ে এসে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
এ ব্যাপারে খলিল মেম্বারের সাথে আলাপকালে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন,আসলে ওরা বিভিন্ন স্থানে ছিচকে চুরি করে বেড়ায়। এলাকাবাসী ওদের গন ধোলাই দিয়েছে। চুর কখনো চুরি করে স্বীকার না করে অন্যের উপড় দোষ চাপিয়ে দেয়।
আপনার মতামত লিখুন........