আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : অপরাধীদের নানাভাবে সাহায়তার পর আঙ্গুল ফুলে করাগাছ বনে যাওয়া এক সহকারী তহসিলদার নিজেই এখন অপরাধীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এমন ভুমি কর্মকর্তার সাথে আঁতাত করে ফতুল্লার অনেক জমির মালিককে নানাভাবে হয়রানী ও জমি দখল করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
এমন ভুমি দস্যুতার সাথে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীরা নানাভাবে জমির মূল মালিকদেরকেরও হয়রানী করেছে বলে অভিযোগ করেছে গুরুতর অসুস্থ্য বৃদ্ধ রহমত আলী ও তার পরিবার। রহমত আলীর ছেলে পুলিশের দারোগা হয়েও ভুমিদস্যুদের কাছে যেন অসহায় হয়ে পরেছে। বাবা দাদার রেখে যাওয়া সম্পত্তির রক্ষায় ভুমিদস্যুদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় উল্টো বিভিন্ন দপ্তরে ভুমিদস্যু সহকারী তহসিলদার ও তার লোকজন নানাভাবে পুলিশের উপর মহলে অভিযোগ করে হয়রানীর মাত্রা আরো বৃদ্ধি করে চলেছে। পুলিশও যে অনেক ক্ষেত্রে অসহায় এমন প্রমাণ দিয়েছে দারোগা ফয়সাল।
ঘটনার বিবরণে দারোগা ফয়সাল জানায়, আমার বাবা প্রায় ৩০ বছর পূর্বে ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে আমাদের বাড়ীর সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে। সেই হিসেবে বিক্রি করা সম্পত্তি আলাদা করে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এই বিক্রি করা সম্পত্তি আবার হাতবদল করে কিনে নেয় বরিশালের জনৈক শহিদুল ইসলাম। এই মহিদুল ইসলামের স্ত্রী নারায়ণগঞ্জ সদর ভূমি অফিসে ইউনিয়ন ভুমি উপ সহকারী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার লিপি। তিনি মূলতঃ নেপথ্যে থেকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ মৌজার সম্পত্তি ক্রয় করে আশেপাশের সকলের জমি দখল করতে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে অতিষ্ট করে তুলেছে এলাকাবাসীকে।
দারোগা ফয়সালের বাড়ীর দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে প্রশাসনিক প্রভাব ছাড়াও স্থানীয় ভুমিদস্যুদের সাথে নিয়ে প্রাচীর নির্মান করে আশেপাশের বাড়ীর মালিকদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চালিয়ে যাচ্ছে তান্ডব।
ভূমি কর্মকর্তা রোমানা আক্তার লিপির এমন দখলের বিষয়ে দারোগা ফয়সালের বৃদ্ধ মা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা ছেলে দারোগা বলেই আমরা অসহায়। দখলের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই আমার ছেলের বিরুদ্ধে লিপি পুলিশের উপর মহলে অভিযোগ দিয়ে নানাভাবে হয়রানী করে যাচ্ছে।
এমন অভিযোগ সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জ সদর ভূমি অফিসের উপ সহকারী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার লিপির মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া না গেলেও তার স্বামী শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা জমি কিনে এখানে বাড়ী করেছি। এই বিষয়টি ফতুল্লা থানার ওসি ও দারোগা কামরুল বিচার করে দিয়েছে। আমরা সেভাবেই নির্মান কাজ চালাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন........