আলোকিত নারায়নগঞ্জ ২৪ ডট নেট : সোনারগাঁ থানার পিরোজপুর ইউনিয়নে মাত্র ৪৭ জন মাদক সম্রাটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের সাধারন মানুষ। তারা চাঁন মাদক বিক্রেতাদের হাত থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করুক। সোনারগাঁ থানা পুলিশের তালিকা অনুযায়ী পিরোজপুর ইউনিয়নে ৪৭ জন মাদক ব্যবসায়ী হলেও এলাকাবাসীর দাবী এর সংখ্যা হবে আরো বেশী।
পিরোজপুর ইউনিয়নের মাদক বিক্রেতারা হলেন, ভাটি বন্দর এলাকার বাইল্লা মিস্ত্রীর পুত্র মোঃ গোলজার, একই এলাকার আইচ্ছালার পুত্র মোঃ শহীদুল্লাহ, আব্দুল মান্নানের পুত্র মোঃ টিটু, আরব আলীর পুত্র সাহাবদ্দিন ও সাবুদ্দি সিরাজুল ইসলামের পুত্র মাসুদ মিয়া,আক্রম আলীর পুত্র মোঃ রাসেল, মোতালিবের পুত্র আলীনুর, অরুনের পুত্র মোঃ সেলিম, ইব্রাহীমের পুত্র মোঃ নজরুল, সোলায়মানের পুত্র সাহা আলী, সোলায়মান বেপারীর পুত্র আজম, ওহাব আলীর পুত্র আলী আকবর,পূর্ব ভাটি বন্দর এলাকার তাহের আলীর পুত্র মোঃ নুর আলম, সোনা মিয়ার পুত্র মোঃ দিদার, মোবারক মিয়ার পুত্র মোঃ সজীব, আঃ মোতালিবের পুত্র মোঃ কাউছার, শহিদা বেগমের পুত্র মোরসালিন, রহমানের পুত্র মোঃ নজরুল, তোফাজ্জলের পুত্র রনি ও রুবেল, আঃ কাদিরের পুত্র শাহজালাল, জিয়া নগর এলাকার গেসু হিজরার পুত্র মোঃ মনির মিয়া ও পনির মিয়া, একই এলাকার গেদু বাইদার পুত্র সাইজুদ্দিন, দারোগা আলীর পুত্র তোফাজ্জল হোসেন ও মোঃ আমুদ আলী, মাহানীর পুত্র সুমন, পূর্ব কান্দার গাঁও এলাকার মোঃ রফিকের পুত্র শাহ জালাল,একই এলাকার রেজার পুত্র শাহীন, রফিকের পুত্র শাহীন, মুন্নার পুত্র আল আমিন, বজলুর পুত্র সবুজ মিয়া, পিরোজপুর এলাকার খাদেমের পুত্র জামাল, শান্তিনগর এলাকার ফজলু মেম্বারের পুত্র রোমান, নয়াগাঁও এলাকার সাদেক, খালেক, আলমেছ এর পুত্র দরি ইসলাম, কাদিরগঞ্জ এলাকার মৃত সামসুল হকের পুত্র বাহাউদ্দীন ও জাকির, ইসলামপুর এলাকার মোফাজ্জল, কবির,ঝাউচর এলাকার তাইজউদ্দিনের পুত্র দুলাল, পিয়ার আলীর পুত্র ইউসুফ, কুরবানপুর এলাকার শাফায়েত উল্লাহর পুত্র রাসেল, চর গোয়ালদী এলাকার ফজলুল হক মেম্বারের পুত্র রোমান ও মঙ্গলের গাঁও এলাকার সিরাজুল ইসলামের পুত্র রাসেল উল্লেখযোগ্য।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন, আমি মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সব সময় আছি। আমি সাবেক এসপি মইনুল হককে সোনারগাঁয়ে এনে মাদক বিরোধী সভা করেছি। ওসি মহোদয়কে নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করি। আমার নিজ গ্রাম পিরোজপুরকে মাদকমুক্ত করেছি। একজনের নাম পাওয়া গেছে পিরোজপুরে। এছাড়া আমার ইউনিয়নে ৪৭ জনের নাম এসেছে। আমি সবাইকে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার জন্য কঠোর ভাবে ব্যবস্থা নিব। প্রয়োজনে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিব।
সোনারগাঁ থানার অফিসার (তদন্ত) মোঃ সেলিম মিয়া মুঠোফোনে বলেন, পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে। মাদক বিক্রেতা ও তাদের সহযোগীরা সমাজের কীট। মাদক বিক্রেতা যতই প্রভাবশালী হোক তাদের কোন ছাড় নেই। যুব সমাজকে রক্ষা করার দায়িত্ব সবার।
আপনার মতামত লিখুন........