আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ
৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ এনসিসি কাউন্সিলর দুলাল প্রধান বৃহস্পতিবার (১ আগষ্ট) ডিবি পুলিশের হাতে আটকের পর নানা মহল থেকে সমান তালে চলেছে তদবির। তবে সব তদবির পাশ কাটিয়ে কাউন্সিলর দুলাল প্রধানসহ আটককৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুরের দিকে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য রেখে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ সাইফুদ্দীন আহম্মেদ দুলাল প্রধানকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ ৩২ হাজার টাকা এবং একটি হায়েস গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। ওসমান পরিবার সমর্থিত দুলাল প্রধান নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ জানায়, দুলাল প্রধানের সাথে আরও ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, কামাল হাসান (৪৭), মনির হোসেন মনু (৫০), তানভীর আহম্মেদ সোহেল(৪১) এবং মো. মজিবর রহমান (৫২)। প্রত্যেকেই দুলাল প্রধানের সহযোগি মাদক ব্যবসায়ী, জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেরিত বার্তায় জানানো হয়েছে, ডিবি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক কাউন্সিলর দুলাল প্রধান স্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় দীর্ঘদিন ধরেই মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
অপরদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, কাউন্সিলর দুলাল প্রধানকে ছাড়ানোর জন্য ক্ষমতাসীন দলের বেশ কয়েকজন ব্যাপক তদবির চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। তদবিরকারীদের মধ্যে একজন সংসদ সদস্যও ছিলেন। তিনি দুলালকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সরাসরি পুলিশ সুপারের সাথেই কথা বলেন। এনিয়ে বেশ কিছুক্ষণ তর্কও হয়।
তবে, পুলিশ সুপার জানিয়ে দিয়েছেন, মাদকসহ হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। ছাড়া সম্ভব নয়। আদালত থেকে জামিনের ব্যবস্থা করেন। মামলা রেকর্ড হয়ে গেছে।
এদিকে পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ দুলাল প্রধান আটক সম্পর্কে বলতে গিয়ে গণমাধ্যমে প্রেরিত বার্তায় জানিয়েছেন, মাদকের সাথে কোনো আপোস নাই। অপরাধী যেই হোক না কেন, অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আপনার মতামত লিখুন........