নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লার পঞ্চবটী এলাকার ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি মামলায় দ্যা ইউনাইটেড ক্লাবের সভাপতি ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন তাপুকে পুলিশ গ্রেফতার করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে । জামিন শুনানী ১ নভেম্বর ধার্য্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ২৯ অক্টোবর বেলা তিনটায় তাপুর পক্ষের কয়েকজন আইনজীবী জোড়ালো যুক্তির পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবির এর আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ।
তথ্য মতে,হাতে গোনা কয়েকজন অসাধু রাজনীতিবিদ, কয়েকজন চোরাইকারবারী এবং কিছু অসাধু সরকারী কর্মকর্তা সহ জন প্রতিনিধি নানাভাবে ম্যানেজ করেই এতোদিন নানাভাবে ভূমিদস্যুতা, চাঁদাবাজি, জুয়া, নারী কেলেংকবারীসহ সকল ধরণের অপরাধ চালিয়ে আসছিলো নির্লজ্জ ও ফতুল্লার চরম বিতর্কিত ক্লাব হিসেবে পরিচিত দ্য ইউনাইটেড এসোসিয়েশনের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তাপু ।
২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর জুয়ার আসর থেকে গ্রেফতারের পর একটি দালাল চক্র ও তেল চোরাকারবারীদের কেউ কেউ নানাভাবে তদ্বির চালিয়ে রক্ষা করে অপরাধীদের । তাপু চক্রের অপরাধের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাবার কারণে এবার ২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে দেয়াল ভাঙ্গা ও হুমকি দেয়ার অভিযোগে তুলে হোসেন জুট মিলের ব্যবস্থপনা পরিচালক সৈয়দ মেহেদী হোসেনের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ। সারারাত ব্যাপী চাঁদাবাজি মামলার বাদী হোসেন জুট মিলের ব্যবস্থপনা পরিচালক সৈয়দ মেহেদী হোসেনের কাছে নানাভাবে মামলা প্রত্যাহার ও আপোষ মীমাংশা করতে জোড়ালো তদ্বির চালায় দালাল চক্রের সহযোগিরা । এমন চাঁদাবাজির মামলায় তোফাজ্জল হোসেন তাপু গ্রেফতারের পর পরই তাকে ছাড়িয়ে নিতে শুরু হয় নানা তদ্বির।এ সকল জোড়ালো তদ্বিরে কোনভাবেই কার্নপাত না করে থানা হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) আসলাম হোসেন।
সেই মোতাবেক ফতুল্লা থানা এলাকার ধর্মগঞ্জের মৃত মৃত আঃ মজিদের ছেলে তোফাজ্জাল হোসেন তাপু কে সাত (৭) দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদােলতে পাঠায় পুলিশ ।
এদিকে মামলার মিমাংশার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নে মামলার বাদী ও হোসেন জুট মিলের ব্যবস্থপনা পরিচালক সৈয়দ মেহেদী হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না ।
ফতুল্লার বিতর্কিত ব্যবসায়ী, ভুমিদস্যু ও অভিজাত ক্লাব হিসেবে পরিচিত দ্য ইউনাইটেড এসোসিয়েশনের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তাপুকে গ্রেফতারের পর পুরো এলাকাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে । অনেকেই বলেছেন , তাপু এমন একজন কুখ্যাত ব্যক্তি তার কোন লাজ সরম নাই । কয়লার ব্যবসা করতে গিয়ে ফিলিপাইনে বিয়ে করে ফেলে রেখে এসেছে । আর দেশে রয়েছে আরেক স্ত্রী । একই সাথে চেয়ারম্যানকে বিয়াই বাণিয়ে অন্যের বিশাল সম্পত্তি দখল করে শিপইয়ার্ড নির্মানের অভিযোগ রয়েছে । বিগত দিনে এমন ভূমিদস্যূতা করায় সাবেক চেয়ারম্যান নাসিরের মামলায় তাপু ও তার প্রয়াত পিতা আঃ মজিদ একই সাথে জেল খেটে জামিনে মুক্তি পায় । এরপরও লজ্জা হয় নাই এই অপরাধীর । তাপুর সাথে নানা শ্রেণী পেশার স্বার্থপর লোভী প্রকৃতির লোকজন থাকায় অপরাধ করতে এখন আর কোন চিন্তা করে না এই চক্রটির ।
তাই এই চক্রের লাগাম টেনে ধরার জন্য পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম ও ওসি আসলাম হোসেনের এমন আন্তরিকাতাকে সাধুবাধ জানিয়েছেন এলাকার ভূক্তভোগি অনেকেই ।
আপনার মতামত লিখুন........