নারায়ণগঞ্জবৃহস্পতিবার , ৩০ এপ্রিল ২০২০
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

আলীগঞ্জে চলছে মাদকের রমরমা বাণিজ্য

Alokito Narayanganj24
এপ্রিল ৩০, ২০২০ ৬:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে ফতুল্লার রাস্তায় জনসমাগম ঠেকাতেই ব্যস্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এ সুযোগে শুরু হয়েছে রমরমা মাদকের কারবার।আলীগঞ্জ খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে বাড়িতে ও কিছু নির্জনস্থানে বসছে মাদকের আসর। সেদিকে নজর দেওয়ার সময় খুব কমই পাচ্ছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে সহজ স্বীকারোক্তি এসেছে পুলিশের পক্ষ থেকেও।

পুলিশের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। এ কারণে মাদকবিরোধী অভিযান কিছুটা কমে এসেছে।’ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদকের জোন হিসেবে পরিচিত ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় এখনো চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। মাদক সেবনে আলীগঞ্জে বিভিন্ন এলাকার লোকজনের আনাগোনা আছে এলাকাটিতে। এখানে এখন গাজা, হেরোইন ও ইয়াবার ব্যবসা জমজমাট। বিভিন্ন অলি গলিতে বাশ দিয়ে লকডাউন করায় এসব অলি-গলিতেও বেড়েছে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। আলীগঞ্জ বিক্রি হচ্ছে হেরোইন, ইয়াবা এবং গাঁজা, ফেনসিডিলও পাওয়া যাচ্ছে এখানে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে ফতুল্লার প্রধান প্রধান সড়কে মোটরসাইকেল ও রিকশায় একাধিক ব্যক্তির আরোহী হওয়া নিষিদ্ধ থাকলেও পাড়া-মহল্লায় এর কোনো বালাই নেই। সেখানে মোটরসাইকেল দাপিয়ে একসঙ্গে মাদক সেবনে যাচ্ছেন দুই থেকে তিনজন করে যুবক। এরা ফেনসিডিল ও ইয়াবায় আসক্ত। যেখানে দাম একটু কম পান, সেখানেই মোটরসাইকেল নিয়ে ছুটে যান তারা। পকেট খালি করে নেশায় বুঁদ হয়ে আবার ঘরে ফেরেন। পথে কখনো কখনো ঘটে দুর্ঘটনা। এদিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক সংগ্রহে ঠিকই বের হচ্ছেন। যেসব বাড়িতে বা যেসব স্থানে মাদক পাওয়া যায়, সেখান থেকে কিনে আনছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। এ কাজে কিছু নারীদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে।

তবে সচেতন মহল মনে করেন, শুধু ছিচঁকে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে মাদক নির্মূল কিছুতেই সম্ভব নয়। এছাড়া থানা পুলিশের দূর্বল র্চাজশীটে, মামলার দীর্ঘ সূত্রতা সাক্ষীর অভাব এর কারনে আইনের ফাঁক ফোঁকড় দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা আদালত থেকে জামিনে বেরহয়ে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের সাজা দেওয়া হচ্ছে। এই সাজা আপিল যোগ্য বিধান থাকায় এক বা দুই মাস পর এরা জামিনে বের হয়ে আসছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে যে সব মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেপ্তার হয় তার বেশীর ভাগই সেলসম্যান অথচ মাদকের মুল গড ফাদাররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে থাকছেন ধরা ছোয়ার বাহিরে। তাদের সেলসম্যানরা গ্রেপ্তার হলে মুল ব্যবসায়ীরা তাদের আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করে আবার একই ব্যবসায় নিয়েজিত করান।
এছাড়া মাদক সম্রাটরা কখনো কখনো কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে । আবার কেউ ক্উে নিজেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে জমজমাট পরিসরে মাদক ব্যবসা করছে। এ মাদকের বিষয়ে এলাকার সচেতন মানুষ যদি কোন প্রতিবাদ করে তবে গড ফাদাররা সে সব লোকজনকে কোন না কোন ভাবে ফাঁসিয়ে দিয়ে উল্টো তাদের কে হয়রানি করতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আলীগঞ্জ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা হলো, সল্টু রাসেল তার স্ত্রী কবিতা বেগম, আহম্মদ, কালু ড্রাইভার,জালাল,বগি সাইদ,বিপ্লব,মাসুম,শাহিন,আরমান,খোকা, ডাকাত রাজা, সেলিম, পোড়া সবুজ,রাজিব,ফেউ জুয়েল,আক্তার প্রমুখ

 

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!