নিজস্ব সংবাদদাতা : সিদ্ধিরগঞ্জে এম হোসেন জেনারেল হাসপাতালে রোগী দেখার সময় ফাহামিদা আলম নামে এক ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ও হাসপাতালকে সিলগালা আটক করেছে র্যাব-১১। পরে ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনিসুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এছাড়াও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম হোসেন জেনারেল হাসপাতালকে সিলগালা করে হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে র্যাব-১১ এর কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, আটক ফাহমিদা প্রেসক্রিপশন ফরমে তার নামের পাশে ডাক্তারী ডিগ্রী হিসেবে, নিজেকে ডাঃ ফাহমিদা আলম এমবিবিএস, পিজিটি (গাইনী এন্ড অবস), এমসিএইচ (ডিএসএইচ) সিএমইউ, ডিএমইউ মেডিসিন গাইনী ও শিশু রোগ বিষয়ে অভিজ্ঞ ও সনোলজিষ্ট হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ সময় র্যাবের অভিযানিক দল নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক হিসেবে তার সনদ দেখতে চাইলে সে কোন সনদ দেখাতে পারেনি। ফাহমিদা নিজেকে অভিজ্ঞ ডাক্তার পরিচয়ে দিনে পর দিন রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। এমন সংবাদে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টায় কদমতলীপুল এলাকায় অবস্থিত এম জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ওই ওই ভূয়া নারী ডাক্তারকে আটক করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ফাহমিদা আলম (২৫) দীর্ঘদিন নিজেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে এই হাসপাতালে নিয়মিত রোগী দেখে আসছে। সে রোগী দেখার সময় বিভিন্ন প্রকার প্যাথোলজিক্যাল টেষ্ট দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়।
ম্যাটস থেকে একটি ডিপ্লোমা কোর্স করা ফাহমিদা আলম হাসপাতালে আলট্রা সনোর টেকনিশিয়ান হিসেবে চাকুরি নেয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সেই পরষ্পর যোগসাজসে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখা শুরু করে।
পরে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ও হাসপাতালকে সিলগালা করে হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
আপনার মতামত লিখুন........