নিজস্ব সংবাদদাতা : সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম পিপিএম ও এসআই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে পুলিশ মহা-পরিদর্শকের কাছে করা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ মহা-পরিদর্শক কার্যালয় থেকে একজন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। বিগত নভেম্বর মাসের ২৮ তারিখে তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ স্থানীয়দের সাে কথা বলেন। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ঘটনার অডিও ও ভিডিওসহ প্রায় ২৮৬ পৃষ্ঠার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন জাহিদুল ইসলাম স্বপন। এসময়, জাহিদুল ইসলাম স্বপন ছাড়াও আরো প্রায় ১২ জন স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। তবে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তার নাম ও পদবি প্রকাশ করেন নি জাহিদুল ইসলাম স্বপন।
উল্লেখ্য যে, গত ৮ অক্টোবর রাত ২.৩০ মিনিটে অর্থাৎ প্রথম প্রহরে ত্তপাড়ার বাড়ী থেকে কোন প্রকার গ্রেফতারী পরোয়ানা, অভিযোগ বা মামলা না থাকা সত্ত্বেও আটক করা হয় সাবেক এমপির এপিএস জাহিুল ইসলাম স্বপন, তার ভায়রা আনিছুর রহমান আলমগীর এবং ভাগীনা বাবুলকে। আটকের পর সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন বসাক স্বপনকে
থানায় নিয়ে অমানুষিক শারিরীক নির্যাতন চালায়। শুধুমাত্র একটি পক্ষ থেকে বেআইনী সুবিধা পেয়ে এ জগন্য অন্যায় করেন সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম ও এস আই সাধন বসাক। পরে স্বপন মারাত্মক অসুস্হ্য হলে তাকে সোনারগাঁ স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পরে থানায় নিয়ে রশিতে ঝুলিয়ে পুনরায় মারধর করে এবং ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পুরো ঘটনাটির অডিও রেকর্ডও প্রকাশিত হয়।
পরবর্তীতে গত ১১ই অক্টোবর সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম পিপিএম, এসআই (সেকেন্ড অফিসার) সাধন বসাকের বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত ‘ঘ’ অঞ্চলে মামলা দায়ের করেন স্বপন (পিটিশন মামলা -২০৫/১৮)। এসময় তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ মহা-পরির্শকের নিকট আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেয় পুলিশ মহা-পরিদর্শকের কার্যালয়।
আপনার মতামত লিখুন........