আলোকিত নারায়নগঞ্জ ২৪ ডট কম : সারা বাংলাদেশ ভাসছে মাদকে, ইয়াবা,গাঁজা,ফেন্সিডিল,হেরোইনসহ নানা ধরনের মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে যুবক-যুবতীরা। দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মাদক বিক্রেতাদের কারনে। হঠাৎ কোটিপতি বনে যাওয়ার স্বপ্নে এবং মাদকে কাচা টাকা পাওয়ায় মাদক বিক্রিতে জড়িয়ে পড়ছে ধনীর দুলাল থেকে শুরু করে নিম্ন শ্রেনীর মানুষ। আজ আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪.কম তুলে ধরছে সোনারগাঁ থানার পুলিশের তালিকাভূক্ত ৫৯৮ জন মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে শুধুমাত্র আমিনপুর পৌর সভার ১০৭ জন মাদক সম্রাটের তালিকা।
ইতিপুর্বে জেলার প্রতিটি থানা এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের ছবি সম্বলিত পোস্টার দিয়ে তালিকা প্রকাশ করেছে এবং তাদেরকে ধরার জন্য পুরস্কারও ঘোষনা করেছে পুলিশ প্রশাসন।
সোনারগাঁয়ে পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে গোয়ালদী এলাকার মোসলে উদ্দিনের পুত্র ফরহাদ,শেষে রয়েছে বসুরবাগ টিপুরদী এলাকার হাকিম আলী বেপারীর পুত্র শফিক।
অন্যান্য মাদক সম্রাট ও বিক্রেতারা হলেন, গোয়ালদী এলাকার নাসিরউদ্দিনের পুত্র রাজু, গোয়ালদী মীরপাড়া এলাকার জালাল মিয়ার পুত্র জুম্মন, গোয়ালদী খান বাজার এলাকার তারা মিয়া পুত্র মামুন, ফতেকান্দি এলাকার শাহ জাহানের পুত্র বাহাউদ্দীন, একই এলাকার শাহজাহানের পুত্র মিলন, মজনুর পুত্র বাবুল, তমিজউদ্দীনের পুত্র ইকবাল, দরপত দক্ষিনপাড়া এলাকার তাজুর পুত্র মনি, করিমের পুত্র নজু, দরপত মধ্যেপাড়ার রহমানের পুত্র জালাল, রাইজদিয়া এলাকার মৃত রফিকের পুত্র ববুল মিয়া, শাহজাহানের পুত্র শাহজালাল ও বকুল মিয়া, আব্দুল আজিজের পুত্র আনোয়ার ও হানিফ, তমুজউদ্দিনের পুত্র মনির, নয়ামাটি এলাকার মৃত আজিজের তোফাল মিয়া, পিয়ার আলীর পুত্র সবুজ মিয়া, রাজু আহম্মেদের পুত্র নবির হোসেন, মৃত নেওয়াজ উদ্দিনের পুত্র বাচ্চু মিয়া, বাচ্চু মিয়ার পুত্র হোসেন মিয়া, আব্দুল হাকিমের পুত্র মোহাম্মদ আলী, হান্নান মিয়ার পুত্র হাসান মিয়া, মান্না মিয়ার পুত্র আলী হোসেন, আকরাম আলীর পুত্র মামুন মিয়া, ইসলাম পট্টি এলাকার মৃত সামসুলের পুত্র শাহজালাল, ওমর আলীর পুত্র আবু সাইদ, রাইজদিয়া এলাকার হাসেমের পুত্র বাতেন মিয়া, নায়েব আলীর পুত্র শহীদুল্লাহ, বালুয়া দিঘীরপাড় এলাকার মৃত রজব আলীর পুত্র হানিফ ও জব্বার মিয়া, আবুল বাসারের পুত্র বদু মিয়া, নাজিমুদ্দিনের পুত্র হাসান মিয়া, মৃত হাসেম আলীর পুত্র হজরত আলী, শাহজাহানের পুত্র মিথুন মিয়া, ইয়াকুব এর পুত্র তোফাজ্জল, মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র লাল মিয়া, রমজান আলীর পুত্র রাজা, আলাউদ্দিন এর পুত্র আনোয়ার হোসেন, কফিল উদ্দিন এর পুত্র আবু হানিফ, হারুন অর রশিদের পুত্র মফিজ মিয়া, আবদুল খালেকের পুত্র কালাম, মৃত আজিমউদ্দিনের পুত্র সাইদুর রহমান, গোচাইট এলাকার খাজা মিয়ার পুত্র রাকিব, ইছাপাড়া এলাকার জামানের পুত্র সুমন, মৃত মোস্তফার পুত্র মুকবিল ও দেলোয়ার, শ্বশুর তানসের পুত্র সাইফুল, সাঈদের পুত্র মজিদ, ওমেনার পুত্র ফয়সাল, সদুর পুত্র সেন্টু, দিঘীরপাড় এলাকার মৃত আবুল কাশেমের পুত্র আমীর হোসেন, মতিউর রহমান প্রধানের পুত্র সেলিম, হান্নানের পুত্র নাদের, জামাই আলাউদ্দিনের পুত্র দীপু, মৃত তোতা মিয়ার পুত দিদার, মৃত সামসুল হক মেম্বারের পুত্র নাছির, মৃত ওবাইদুল হকের পুত্র মোজাম্মেল, মৃত ইয়াজউদ্দিনের পুত্র হুমায়ন, মজিবরের পুত্র মুন্না, আক্কাস আলীর পুত্র সুজন ও নাজমুল, পিতা অজ্ঞাত রুবেল, মৃত করিমের পুত্র মাসুম, রশিদের পুত্র সুমন, মৃত আফাজউদ্দিনের পুত্র বিল্লাল, মৃত সমির উদ্দিনের পুত্র মালেক, বয়রা মালেকের পুত্র মোক্তার, শারজাহানের পুত্র আসাদুজ্জামান, মৃত আনসার আলীর পুত্র বাতেন, পিতা অজ্ঞাত নুর হোসেন, মৃত বারেকের পুত্র আক্তার, মৃত সুরুজ মিয়ার পুত্র আসলাম, মৃত আনসার আলীর পুত্র শের আলী, হোটেল আজিজের বড় ভাই মোতালেব, সজিব, সাইফুল, মনসুরের পুত্র ফরিদ, চিলারবাগ এলাকার বাদলের পুত্র চঞ্চল, সীমান্ত, মঈনের পুত্র শান্ত, চিলারবাগ এলাকার রুচির পুত্র জাহিদ, রফিকের পুত্র রিফাদ, সাজুর পুত্র সাইফুল, বাছেদ এর ভাগিনা সিহাব মীর, অর্জুনদী এলাকার মৃত আতাউর রহমানের পুত্র মামুন, মৃত খোকন মিয়াঁর পুত্র মামুন,খাসনগর এলাকা সিরাজুলের পুত্র মনির, মৃত সামসুল হকের পুত্র নাসির, গোয়ালদী এলাকার মৃত জিয়াউলের পুত্র উজ্জল, নোয়াইল এলাকার শাহ আলমের পুত্র রকি, মজিবর রহমান এর পুত্র সালাম, শাহ আলমের পুত্র রকি, মৃত আনোয়ার এর পুত্র মুছা, ইছাপাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম এর পুত্র শিপলু, মোতালেব এর পুত্র সেলিম, বাগ মুছা এলাকার আব্দুল বাতেন এর পুত্র মোঃ রনি, গোয়ালদী এলাকার কাশেম মীর এর পুত্র রুবেল, দৈলেরবাগ এলাকার বরকত আলীর পুত্র মোতালিব, সাহাপুর এলাকার রফিকের পুত্র আলমগীর, হাতকোপা এলাকার খোরশেদ আলমের পুত্র ভুট্টু, সুমন ও জাহাঙ্গীর, হাসেনের পুত্র হুমায়ুন, কৃষ্ণপুরা এলাকার মৃত মোসলেউদ্দিনের পুত্র মোফাজ্জল, লাহাপাড়া এলাকার ফয়সাক ও বসুরবাগ টিপুরদী এলাকার হাকিম আলী বেপারীর পুত্র শফিক অন্যতম।
আমিনপুর পৌরবাসী চান উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে যুব সমাজকে মাদকের করাল থাবা হতে রক্ষা করতে হবে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম জানান,মাদকের ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি। সোনারগাঁয়ে যে মাদক বিক্রেতাদের তালিকা তৈরী হয়েছে এবং আর যারা বাদ রয়েছে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা হবে এ তালিকায়। তিনি আরও বলেন, যদি আমি সোনারগাঁয়ে থাকি তাহলে অবশ্যই ডিসেম্বরের পর মাদক সংক্রান্ত একটি সমাবেশ করা হবে আর যদি আমি না থাকি তাহলে সোনারগাঁয়ের সর্বসাধারন মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
আপনার মতামত লিখুন........