আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম পিপিএম ও এসআই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। অডিওসহ ১৪৬ পৃষ্ঠার কাগজপত্র সহকারী পুলিশ সুপার আনিস উদ্দিনের নিকট জমা দিলেন মামলার বাদি জাহিদুল ইসলাম স্বপন। এসময় মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম স্বপন ও পিটিশন মামলায় তার স্বাক্ষীরা স্বাক্ষী প্রদান করেন।
উল্লেখ্য যে, গত ৮ অক্টোবর রাত ২.৩০ মিনিটে অর্থাৎ প্রথম প্রহরে দত্তপাড়ার বাড়ী থেকে কোন প্রকার গ্রেফতারী পরোয়ানা, অভিযোগ বা মামলা না থাকা সত্ত্বেও আটক করা হয় সাবেক এমপির এপিএস জাহিদুল ইসলাম স্বপন, তার ভায়রা আলমগীর এবং ভাগীনা বাবুলকে। আটকের পর সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন বসাক স্বপনকে থানায় নিয়ে অমানুষিক শারিরীক নির্যাতন চালায়। শুধুমাত্র একটি পক্ষ থেকে বেআইনী সুবিধা পেয়ে এ জগন্য অন্যায় করেন সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম ও এস আই সাধন বসাক। পরে স্বপন মারাত্মক অসুস্হ্য হলে তাকে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পরে থানায় নিয়ে রশিতে ঝুলিয়ে পুনরায় মারধর করে এবং ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পুরো ঘটনাটির অডিও রেকর্ডও প্রকাশিত হয়।
পরবর্তীতে গত ১১ই অক্টোবর সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোরশেদ আলম পিপিএম, এস.আই (সেকেন্ড অফিসার) সাধন বসাকের বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত ‘ঘ’ অঞ্চলে মামলা দায়ের করেন সাবেক এমপির এপিএস জাহিদুল ইসলাম স্বপন (পিটিশন মামলা -২০৫/১৮)। আদালতে জাহিদুল ইসলাম স্বপনের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূইয়া। বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্ত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ সুপার, নারায়নগঞ্জকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপারের নিচে হবে না। আদালত তার আদেশে বলেন, অভিযোগটি অত্যন্ত গুরুতর। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন মর্মে আদালত মনে করে। আদালত ৬টি বিষয়ে সুস্পষ্ট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নারায়নগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয় সহকারী পুলিশ সুপার আনিচ উদ্দনকে। আজ বৃহস্পতিবার মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম স্বপন ও স্বাক্ষীরা স্বাক্ষ্য দেন সহকারী পুলিশ সুপারের নিকট। এসময় মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম স্বপন আটক থেকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের ১৮ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের অডিও রেকর্ডসহ ১৪৬ পৃষ্ঠার মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রদান করে সহকারী পুলিশ সুপার আনিচ উদ্দীনকে।
আপনার মতামত লিখুন........