আলোকিত নারায়ণগঞ্জ :খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশকে আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য খাদ্য মজুত বাড়াতে আধুনিক সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। যাতে কৃষক ন্যায্যমূল্য পান। সেই সঙ্গে দ্রুত সময়ে ধান শুকিয়ে বিক্রি করতে পারেন। এ জন্য ৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক আটটি সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, একটি দল বলেছিল করোনার সময় খাদ্যের অভাবে দুই লাখ মানুষ মারা যাবে। কিন্তু আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, দেশে করোনার সময় একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি।
রবিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জে সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপোতে (সিএসডি) রাইস সাইলো এবং প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরি নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাজমানারা খানুম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সব খাদ্য গোডাউনকে আমরা ডিজিটাল করছি। যাতে গোডাউনে কে ঢুকছে, কে বের হচ্ছে, কি পরিমাণ পণ্য ঢুকছে, বের হচ্ছে এবং মজুত আছে তা জানতে পারি। আমাদের দুটি উদ্দেশ্য আছে। একটি হলো ওএমএস এবং বিভিন্ন রেশনিংয়ের মাধ্যমে খাদ্য বিতরণ করা। দ্বিতীয়টি হলো দুর্যোগ মোকাবিলা এবং কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, যেসব আধুনিক সাইলো নির্মাণ হচ্ছে তাতে কৃষকরা ধান এনে শুকিয়ে রেখে যেতে পারবেন। আমরা খাদ্যবান্ধব ডিজিটাল কার্ড করছি, যাতে যার চাল তিনিই তুলতে পারেন।
পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। দেশ আজ স্বাধীন না হলে আমরা মন্ত্রী-এমপি, ডিসি, এসপি হতে পারতাম না। যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিলেন তাকে হত্যা করা হলো। এর চেয়ে কষ্টের কিছুই নেই।
খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, দেশে বর্তমানে যেসব সাইলো আছে সেসব সাইলোর ধারণক্ষমতা ২১ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কমপক্ষে ৩৭ লাখ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার সাইলোর প্রয়োজন। এ জন্য নতুন সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে নির্মাণাধীন সাইলোর ধারণক্ষমতা হবে ৪৮ হাজার মেট্রিক টন। সাইলো নির্মাণে ব্যয় হবে ৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৮ টাকা।
তিনি বলেন, আটটি আধুনিক সাইলো নির্মাণে ব্যয় হবে ৩২০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও বরিশাল, খুলনা, নওগাঁ ও আশুগঞ্জসহ দেশের আটটি স্থানে এই ধরনের সাইলো নির্মাণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন........