আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : শহরের টানবাজার দক্ষিণ র্যালি বাগানে মাদকবিরোধী সভায় বৈদ্যুতিক শক দিয়ে আরজু বেগম (৪৫) নামে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অ্যাডভোকেট হামিদা ওরফে লিজা, তার বোন অ্যাডভোকেট আসমা, হোসনা ও সরবানু, রমজানসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ৩০ মার্চ শনিবার সকালে নিহত আরজুদা বেগমের জামাতা মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত আরজু বেগম শহরের টানবাজার দক্ষিণ র্যালি বাগান এলাকার মো. আকতার হোসেনের স্ত্রী এবং শহরের টানবাজার দক্ষিণ র্যালি বাগান মাদক নির্মূল কমিটির একজন সদস্য।
এদিকে রোববার সকোলে ঘাতকদের ফাঁসি দাবি করে নিহতের লাশ নিয়ে শহরে মিছিল করেছে এলাকাবাসী ও স্বজনরা। র্যালিবাগান থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিন করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, আরজু বেগমকে হত্যার অভিযোগ এনে মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন। সেলিম মিয়া শহরের টানবাজার দক্ষিণ র্যালি বাগান এলাকার মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি।
মামলা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে শহরের টানবাজারস্থ দক্ষিণ র্যালি বাগান এলাকায় সাপ্তাহিক মাদকবিরোধী সভা চলাকালে মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের শেল্টারদাতারা সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালায়। এ সময় তারা ৫ সন্তানের জননী আরজু বেগমকে মারধর করে এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করে।
এদিকে হামলার সংবাদ পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মাদক ব্যাবসায়ী ও তাদের শেল্টারদাতারা পুলিশের ওপরও হামলা চালায়। সেখান থেকে হত্যায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে আটক করলে তাদের ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য পুলিশের ওপর আটকদের দোসররা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
অপরদিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেয় মাদক নির্মূল কমিটির লোকজন। তারা মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করার প্রস্তুতি নেন। তবে পুলিশ তাদেরকে নিবৃত করে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
আপনার মতামত লিখুন........