নারায়ণগঞ্জমঙ্গলবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ শকু ও শাহ নিজামের বিরুদ্ধে

alokitonarayanganj
ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮ ২:৩৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর নির্বাচনী গণসংযোগ হামলা চালিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের বিরুদ্ধে। বাহিনী নিয়ে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর উপর হামলা চালানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন কাসেমী। ২৪ ডিসেম্বর সোমবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে ফতুল্লার রূপায়ন আবাসিক এলাকার সামনে এ হামলার শিকার হন মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।

ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী অভিযোগ করেন ফতুল্লার সাইনবোর্ড থেকে এসে ভূইগড় রূপায়ন হাউজিং গেটের সামনে গাড়ি থামিয়ে জনগণের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় ৪/৫টি গাড়ি আসে। হুরহুর করে ২০ থেকে ২২ জন লোক গাড়ি থেকে নামলো। তারা একবার মুখ ঢেকে আবার মুখ খুলে আমার দিকে তেড়ে আসলো। এসে বলে তুই মনির তুই এটা…… সেটা…। মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম এসে বললো আধা ঘন্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ছাড়বি নইলে তোরে মাইরা ফালামু। আমি হাটতেছিলাম তাদের জিজ্ঞাসা করলাম আপনারা এমন আচরণ করছেন কেন ? সে এসে বলে তুই আচরণের কি দেখছোস? আধাঘন্টার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ছাড়বি নইলে তোরে মাইরা ফালামু। এরমধ্যে একটি ছেলে আমার জামা টেনে ধরলো। তারা আমার গায়েও হাত তুলেছে। এদের মধ্যে দুইজনকে আমি চিনতে পেরেছি। মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম ও নাসিক ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু এ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে।

রিটার্নিং অফিসার বরাবরের অভিযোগ করবেন বলে জানিয়ে কাসেমী বলেন, অভিযোগ অবশ্যই করতে হবে। আমার জানের উপর হামলা এসেছে আমি কেন অভিযোগ করবোনা। আমি এখনো স্থিরই হতে পারিনি।

মনির হোসেইন কাশেমী আরেকটি অভিযোগ করে বলেন, আরো একটি ঘটনা ঘটেছে। আড়াটাটার দিকে আমার বড় ভাই মোক্তার হোসাইন মসজিদ থেকে বাসায় ফেরার পথে ফতুল্লা থানার সিভিল টিম তাকে থানায় যেতে হবে বলে নিয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত তাঁর ফোনটি বন্ধ।

মোক্তার হোসেনের ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের একটি মিটিং এ আছেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।

অন্যদিকে এ ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম। তিনি বলেন, দুপুরে আমি রাইফেলস ক্লাবে ছিলাম। সেখানে মিটিং শেষ করে তিনটার দশ মিনিট আগে আমি নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে গিয়ে নামাজ পড়ি। আমার কাছে সিসিটিভির ফুটেজ আছে। রূপায়নের সামনে কি ঘটেছে তা আমি কি করে জানবো। হুজুর হয়ে তিনি এমন মিথ্যা কথা বলেন কিভাবে?

ব্যক্তিগতভাবে তিনি ঐক্যফ্রন্টের কাশেমীকে চেনেননা বলেও দাবি করে শাহ নিজাম বলেন, আমি কাসেমীকে চিনিনা। বিভিন্ন উঠান বৈঠকে আমি বলেছি। কাশেমী একজন জঙ্গি। তার ব্যাপারে আপনারা সতর্ক থাকবেন। একারণে ঈর্ষান্বিত হয়ে এমন নাটক বানিয়েছে। বিএনপির কোন লোক কাশেমীকে পছন্দ করেনা। তারাই এমন কোন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তার দায় তো আমি নিতে পারবোনা।

হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাসেম শকু বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের ভোটার হয়ে চারের প্রার্থীকে মারধর করতে যাবো কেন? এসব ডাহা মিথ্যা কথা। তিনি এমন কথা কেন বলছেন আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!