আলোকিত নারায়নগঞ্জ ২৪ ডট নেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচয় দিলেও আদৌ রোটারিয়ান ড. মুহাম্মাদ ওসমান গনির ঐ সকল প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। রোটারিয়ান ড. মুহাম্মাদ ওসমান গনি তার বিশাল আকৃতির ভিজিটিং কার্ডে উল্লেখ করেন, প্রতিষ্টাতা হিসেবে বক্তাবলী সাহেবজাদা ড. ওসমান গনি কলেজ, প্রতিষ্ঠাতা বক্তাবলী সাহেবজাদা ড. ওসমান গনি আলিয়া মাদ্রাসা, বক্তাবলী সাহেবজাদা ড. ওসমান গনি লাইব্রেরী, বক্তাবলী সাহেবজাদা শাহ আতাউল্লাহ হাসপাতাল, বক্তাবলী সাহেবজাদী মেঘী বিবি অরফানেজ। অথচ এসব নামে কোন প্রতিষ্ঠান আদৌ বক্তাবলীতে নেই।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ওসমান গনি তার ভিজিটিং কার্ডে উল্লেখিত নাম ব্যবহার করলেও প্রতিষ্ঠান তো দুরের কথা একখন্ড জমি পর্যন্ত নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, এসব প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থান হতে ব্যক্তি স্বার্থে অর্থ আদায় করে থাকে ওসমান গনি। তাই ভিজিটিং কার্ডে নানা পদবী ব্যবহার করে থাকে।
মোতোয়াল্লী সমির সদর ওসমানিয়া পাবলিক ওয়াকফ স্টেট নামে আরেক প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করলেও কোন জমি দান করেছেন বলে শুনেননি এলাকাবাসী।
মাহবুবুর রহমান নামে এক যুবক বলেন, আমার বয়স ৩০ এত বছর যাবত শুধু শুনছি প্রক্রিয়াধীন আছে কবে হবে তা জানিনা। তারই মতো বদু নামে আরেক যুবক বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান নামে কোন প্রতিষ্ঠান বক্তাবলীতে নাই। পার্শ্ববতী আলীরটেক ইউনিয়নের মুক্তারকান্দির বাসিন্দা দয়াল মাসুদ বলেন, এ সব প্রতিষ্ঠানের নাম বাপের জনমেও শুনি নাই। এগুলোর নাম ব্যবহার করে সুবিধা নিচ্ছে।
বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, এসব নামে কোন প্রতিষ্ঠান বক্তাবলীতে নেই। প্রশাসন সুষ্টু তদন্ত করলে বের হবে আদৌ এ প্রতিষ্ঠান আছে কিনা?
এ ব্যাপারে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিষ্ঠা ড. মুহাম্মদ ওসমান গনির মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার প্রতিপক্ষ আছে তারা সুবিধা নিতে আমার বিপক্ষে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সব গুলো প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি ওয়াকফ করেছি। অচিরেই কাজ ধরবো।
আপনার মতামত লিখুন........