নারায়ণগঞ্জবুধবার , ৩ অক্টোবর ২০১৮
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

বন্দরে অপহরণকারী চক্রের সাজানো মামলায় ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

alokitonarayanganj
অক্টোবর ৩, ২০১৮ ৪:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়নগঞ্জ ২৪ ডট নেট : বন্দরে অপহরণ করে তুলে নিয়ে মুক্তিপন আদায় করেও ব্যবসায়ীর পিছু ছাড়েনি অপহরণকারী চক্র। গত সোমবার ৮ মাস পূর্বের এক মিথ্যা অভিযোগে অহিদুল ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপহরণকারীর চক্রের সাজানো অভিযোগে ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করায় বন্দর থানার পুলিশের ভুমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি একেএম শাহিন মন্ডল বলেন, ঘটনাটি নিয়ে উপর মহলের চাপে মামলাটি গ্রহন করা হয়েছে। তিনি অপহরণকারী চক্রের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ। ওসির গা-বাঁচানো বক্তব্যে ভূক্তভোগী ব্যবসায়ীর পরিবার ও বন্দরের বোদ্ধা মহল মন্তব্য পুলিশ প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে সন্ত্রাসী চক্রের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে নিরীহ ব্যবসায়ীকে হয়রানী করছেন।

জানাযায়, উপজেলা মুছাপুর ইউপির তবলপাড়া গ্রামের নুরুল হক মিয়ার ছেলে অহিদুল ইসলাম (৩২)কে গত ২ সেপ্টম্বর দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে প্রাইম ব্যাংক মদনপুর শাখা থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। ওই টাকা নিয়ে তিনি এক আত্মীয় বাড়িতে যাওয়ার পথে মদনপুর-প্রভাকরদী সড়কের নাজিমউদ্দিন ভূঁইয়া কলেজের সামনে পৌছালে একটি প্রাইভেটকার তার পথরোধ করে। এসময় তাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাইভেকারে তুলে এক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে চোখ বেঁধে মারধর ও হত্যার ভয়ভীতি দেখায়। পরে তার সঙ্গে থাকা ১লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং বিকাশের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছ থেকে আরো ৩০ হাজার টাকা আদায় করে ছেড়ে দেয়।

এ ঘটনায় ৪ দিন পর অহিদুল বাদি হয়ে সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান, গোলজার, আক্তার হোসেন ও মনির হোসেন ওরফে কাইল্লা মনিরকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর অপহরণকারী চক্রটি পুলিশের কাছে দাবি করে আসছে ব্যবসায়ী অহিদুলকে নারী কেলেঙ্কারী ঘটনায় আটক করা হয়েছে। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান ওই নারীর সামনে ব্যবসায়ীকে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রে হাজির করেন। এসময় ওই নারী ব্যবসায়ী অহিদুলের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে ৮ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। ব্যবসায়ী অহিদুল বিষয়টি অস্বীকার করলে দুই জনের মোবাইল কললিষ্ট উঠানো হয়। কললিষ্টে অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে ব্যবসায়ীর সম্পর্কের কোনো প্রমান পাননি পুলিশ। প্রায় এক মাস পর অপহরণকারী চক্রের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহন করে বন্দর থানা পুলিশ ব্যবসায়ী অহিদুলের বিরুদ্ধে একটি সাজানো মামলায় বাড়ি থেকে থানায় ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার করে।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম শাহিন মন্ডল বলেন, ঘটনাটি নিয়ে উপর মহলের চাপে মামলাটি গ্রহন করা হয়েছে।

সাজানো মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর কুতুবুল আলম জানান, মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।

ব্যবসায়ী অহিদুল ইসলামের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের সত্যতা প্রমান হয়েছে। কিন্তু নারীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মোবাইল কললিষ্টে প্রামান পাওয়া যায়নি।

নারায়ণগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-খ) খোরশেদ আলম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কোনো নিরীহ ভাল মানুষকে হয়রানীর অভিযোগ প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!