আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তিন নারীকে যৌনকর্মী আখ্যা দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনার মূল হোতা বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার ইউসুফ গ্রেফতার হলেও বাকী আসামীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তবে এ মামলার এজহার ভূক্ত ৬নং আসামী বন্দরে দক্ষিন কলাবাগ এলাকার নাসির মাস্টারের ছেলে শাহীনকে বাদ দেয়ার জন্য একটি বিশেষ পেশার মহল তকদির করে যাচ্ছে বলেও জানা যায়।
জানা গেছে, গত (১৬ ফেব্রুয়ারী) শনিবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিন কলাবাগ এলাকার মৃত মফিজ উদ্দিন এর স্ত্রী ফাতেমা আক্তার,খালাত বোন আসমা বেগম ও বুরুন্দী এলাকার বকুল মিয়ার স্ত্রী বানু বেগমকে যৌনকর্মী আখ্যা দিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পেটায়। এসময় তিন নারীর চুল কেটে দেয়া হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের গায়ের কাপড় খুলে নেয়ারও চেষ্টা করা হয়। এসময় ফাতেমার বাড়ীতে লুটপাট ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়।
এদিকে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্য এ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জে আসেন। তারা নির্যাতিতা তিন নারীর জবানবন্দি অনুযায়ী ঘটনাস্থলে এসে এর সত্যতা পান। পরে এ ঘটনায় নির্যার্তিত ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামী করে সোমবার বিকেলে মামলা দায়ের করেছে।
মামলার ১নং এজহার ভূক্ত আসামী বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার ইউসুফ ছাড়াও বাকীরা হলেন, দক্ষিন কলাবাগ এলাকার জয়নাল মিয়ার ছেলে জীবন মিয়া, সিরাজ মিয়ার ছেলে সুমন, সাহেব আলীর ছেলে আলমগীর, আহাম্মদ মিয়ার ছেলে মতিন, নাছির মাষ্টারের ছেলে শাহীন,জীবন মিয়ার স্ত্রীর উম্মে হানী, মতিন মিয়ার স্ত্রী মাকসুদা,সিরাজ মিয়ার স্ত্রী এলিজা বেগম, আমান মিয়ার ছেলে নাদিম, শাহাদাত হোসেনের ছেলে ইমান হোসেন।
এ ঘটনার প্রধান আসামী ইউসুফ মেম্বার গ্রেফতার হলেও এখন পর্যন্ত বাকী আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
এ বিষয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার অপরেশন হারুন অর রশিদ জানান, মামলার এজাহার থেকে ইচ্ছে করলেই তো নাম বাদ দেয়া যায়না। মামলার অগ্রগতি সর্ম্পকে তিনি বলেন, অন্যান্য আসামী ধরার জন্য অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........