আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটকের পর মুক্তি দিয়েছেন জেলা ডিবি পুলিশ। ১৭ ডিসেম্বর সোমবার রাত ১টায় গোয়ালী এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে ডিবির পরিদর্শক এনামুল হক তাকে আটক করেন। আটকের পর তাকে ডিবির কার্যালয়ে রাখা হয়েছিল। নসিমন চালক মামলা না করায় ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে মেয়রকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে আটকের পর জেলা পুলিশের (ইন্সেপেষ্টর মিডিয়া) সাজ্জাদ রোমন জানান, কিশোর নসিমন চালকে মারধরের ঘটনায় মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত সংবাদ ও ভিডিও ফুটেজ পুলিশ সুপার মহাদয়ের নজরে এলে তিনি আইনি ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।
ডিবির পরিদর্শক এনামুল হক জানান, যাদের মারধরকরা হয়েছিল তারা কোন মামলা বা আইনি ব্যবস্থা নেননি। তারা মেয়রের সাথে আপোষ করেছেন। তাই মেয়রের মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক আবস্থাও বেশী ভাল না।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে মহাজোটের মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে গণসংযোগ করে ১৫ ডিসেম্বর নিজ গাড়িতে চড়ে বাসায় ফিরছিলেন মেয়র সাদেকুর রহমান। সোনারগাঁও জাদুঘরের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা বাঁশ বোঝাই নসিমনের সঙ্গে তার গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে মেয়র সাদেকুর রহমানের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাদেকুর রহমান গাড়ি থেকে নেমে নিজের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ওই যুবককে মারতে শুরু করেন। মারধরের সময় ওই কিশোর চালক বারবার ক্ষমা চেয়ে আহাজারি করে মেয়রের দুই পা ধরে জড়িয়ে ধরে। এতেও মন গলেনি মেয়রের। উল্টো আরও চটে যান তিনি। পরে আরও কয়েক দফা তাকে হাতের লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। সব মহল থেকে উঠে নিন্দার ঝড়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সবখানে মেয়রের গ্রেফতারসহ শাস্তির দাবি ওঠে।
অভিযুক্ত মেয়র বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির (বিসিডিএস) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি।
আপনার মতামত লিখুন........