মো. মনির হোসেনঃনারায়ণগঞ্জ শহরের উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরু দীর্ঘদিনের বিরোধ আর তারই ধারাবাহিকতায় আইভি বনাম শামীম ওসমান বিভক্তিতে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে স্থবিরতা কাটছেনা। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভক্তি আরও চরম আকার ধারন করছে। নির্বাচন ইস্যুতে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে এবার ভিন্ন কৌশলে নেমেছেন উভয় পক্ষ। সরাসরি একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার না করে ব্যবহার করছেন দ্বিতীয় সারির নেতাদের। রাজনীতির গেড়াকলে কর্মীরাও দুই ভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক ভাগ সংসদ সদস্য শামীম ওসমান পন্থী ও আর এক ভাগ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীর।
তবে এই পরিস্থিতি চলমান থাকলে নাসিক নির্বাচনের আগে যে কোন সময় স্থানীয় নেতারা সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে আগামী অক্টোবর মাসে বিশাল জনসমাবেশ করার ঘোষনা দিয়েছেন সাংসদ শামীম ওসমান। পাশাপাশি ২৭টি ওয়ার্ডে কর্মীসভা করারও ঘোষনা দিয়েছেন। আর শামীম ওসমানের এই কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে মেয়রের পক্ষ থেকে পাল্টা কর্মসূচী পালন করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন একটি সূত্র।
এনিয়ে উত্তেজনা পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দুই পক্ষের অপপ্রচারে দল সাংগঠনিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও লাভবান হচ্ছেন কতিপয় কিছু নেতা। যা নিয়ে সাধারণ নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। এছাড়াও দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে আওয়ামীলীগ বিরোধীরাও নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানগুলোতে উত্তর ও দক্ষিন মেরুর নেতৃবৃন্দের উষ্কানিমূলক বক্তব্যের কারনে আবারো নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি সংঘাতের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলেও নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশাপাশি রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন।
তাই এই জেলায় আওয়ামী লীগের ভেতর আর কোনো ঐক্যের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। ফলে সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল অবস্থানেই রয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটিগুলো পুনর্গঠন না করায় নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হচ্ছে না। তাই একক আধিপত্য করে যাচ্ছে সুবিধাবাদি নেতারা।
এদিকে, নাসিক নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার দলের তৃণমূলে ত্যাগী নেতা কর্মীরা ও বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। লাভবান হচ্ছেন এক শ্রেণির টেন্ডারবাজ, চাদাবাজ, ঝুট সন্ত্রসীরা। তাই দলের ত্যাগী শীর্ষ নেতারা প্রধান মন্ত্রীর দিকেই চেয়ে আছেন তিনি কার হাতে সিটি নির্বাচনের নৌকা তুলে দেন, উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরু সমস্যা কিভাবে সমাধান করেন।
আপনার মতামত লিখুন........