আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সিনিয়র আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকারের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কোর্ট এলাকায় ঢুকে ছাত্রলীগের কর্মীরা এ হামলা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে সাংবাদিকদের তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশ করে ছাত্রলীগ আমার গাড়িতে হামলা করেছে। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে আমার গাড়ির পেছনের সম্পূর্ণ গ্লাস ভেঙে গেছে। আমি কার কাছে বিচার চাইবো? বিচার চেয়ে লাভ নেই। এ দেশে বিচার নেই।
এবিষয়ে তৈমূর আলমের মেয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার মারিয়াম খন্দকার বলেন, আমার বাবা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করে পরাজিত হন। পরে দল (বিএনপি) থেকে বহিষ্কার হন। এরপরও এভাবে গাড়িতে হামলার ঘটনা আশ্চর্যজনক।
তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের মতো এলাকায় হকিস্টিক, রামদা, রড, লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রলীগ কীভাবে হামলা করলো?
মারিয়াম খন্দকার আরও বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা ছাত্রদলের কর্মীদের ধাওয়া করার পরে তারা ভয়ে দৌড়ে সুপ্রিম কোর্টে ঢোকে। সেখানেও তারা ছাত্রদলের ছেলেদের চাপাতি, রড দিয়ে মেরে গুরুতর আহত করে। আমাদের কিছু আইনজীবীও মারাত্মক আহত হয়েছেন। আমার বাবার গাড়িসহ বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করেছে তারা। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার পরে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে প্রবেশ করে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে এলোপাতাড়ি লাঠি দিয়ে আঘাত করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় দুজন আইনজীবী এগিয়ে গেলে তাদেরও ছাত্রলীগের কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের।
সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে এসে ছাত্রলীগের এমন হামলার প্রতিবাদে বিএনপির আইনজীবীরা তাৎক্ষণিক মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভুইয়া বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
আপনার মতামত লিখুন........