আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:অবশেষে স্কুলছাত্রী জিসা মনিকে কথিত ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তাকে এসআই শামীম আল মামুনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (২৬ আগস্ট) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।
সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, স্কুল ছাত্রী দিশা মনির ঘটনায় গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট সহায়ক কমিটি দুটি বিষয় নিয়ে কাজ করছে। একটি হলো আসামিরা হত্যা ও ধর্ষন না করেও কেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিল এবং কিভাবে তদন্তকারি কর্মকর্তা তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিল।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বিরুদ্ধে আসামীদের স্বজনদের করা নানা অভিযোগ প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখেছি স্বজনরা অভিযোগ করেছে তদন্ত কর্মকর্তা আসামির স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে এবং জোরপূর্বক ভয় দেখিয়ে জবানবন্দি নিতে বাধ্য করেছে। যদিও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আসামির স্বজনরা পুলিশের কাছে লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। কিন্তু তারপরেও তদন্তের স্বার্থে আমরা প্রত্যেকটি অভিযোগ নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখবো। এখানে কোন অপরাধীদের ছাড় দেয়া হবে না। সবাই নিশ্চিত থাকুন।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার গার্মেন্ট শ্রমিক জাহাঙ্গীরের ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসা মনি গত ৪ জুলাই নিখোঁজ হয়। এক মাস পর ৬ই আগস্ট জিসা মনির বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এই মামলায় ৭ আগস্ট পুলিশ গ্রেফতার করে জিসা মনির কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ, নৌকার মাঝি খলিল ও অটোচালক রকিবকে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই শামীম আল মামুন তিনজনকে রিমান্ডে নেয়।
একপর্যায়ে জিসা মনিকে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে। কিন্তু ২৩শে আগস্ট ৫০ দিন পর সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে জিসা মনি জীবিত ফিরে আসে। এতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় সর্বত্র। তোলপাড় চলছে প্রশাসনে।
আপনার মতামত লিখুন........