মো. মনির হোসেন: নারায়ণগঞ্জ সদরের আসন্ন এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৯টি ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মহিলা মেম্বার প্রার্থীরা মাঠে তৎপর । বর্তমান পুরাতনদের পাশাপাশি নতুন প্রার্থীদের প্রচারনা শুরু হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আভাস পেয়েই বসে নেই কেউ, বর্তমান মেম্বার কিংবা নতুন সম্ভাব্য প্রার্থীরা, যে যার মতো করে ভোরটাদের দৃষ্টি আকর্ষনে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
বর্তমান মেম্বাররা তাদের কর্মকান্ডেকে মূল্যায়ন করে আগামী দিনে আবারও ভোটারদের সমর্থন চাচ্ছেন। পিছিয়ে নেই নতুন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তবে সাবাই বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়েই আগামীতে ভোটের মুখোমুখি হতে মুখিয়ে রয়েছে। চেষ্টা করে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির সমর্থন নিতে। তবে আসন্ন এই নির্বাচনে কে মেম্বার হবেন তা স্ব স্ব ওয়ার্ডের ভোটারাই চূড়ান্ত করবেন।
সূত্রমতে, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সরব হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। কে হচ্ছেন আগামী দিনের চেয়ারম্যান ? এ বিষয়টি নিয়ে যেমন আগ্রহ রয়েছে, তেমনি কে বা কারা মেম্বার হচ্ছেন এটা নিয়েও আগ্রহের শেষ নেই। তবে একটি সূত্র জানান, ফতুল্লা থানার সবগুলি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচন করেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।তার সু নজর যার দিকে থাকবেন সেই হবেন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মহিলা মেম্বার। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ছাড়া আওয়ামী লীগে এখনো কাউকে প্রার্থী হতে আগ্রহ দেখা যায়নি এনায়েতনগর ইউনিয়নে ।
বিএনপিতে কে প্রার্থী হবে তা জানতে বিএনপি হাইকমান্ডের দিকে তাকিয়ে আছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। যদি ও গতবার প্রার্থী হয়েছিলেন এড. মাহমুদুল হক আলমগীর ।হাই কমান্ডের নির্দেশ পেলে এবার ও তিনি প্রার্থী হবেন এমনটিই জানা গেছে। এছাড়া দল যদি তাকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেয় তাহলে তিনি তার দলের প্রার্থীকে নিয়ে মাঠে নামবেন। গতকাল তিনি নিজে টেলিফোনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এডভোকেট আলমগীর আরো বলেন, আপনারা জানেন বিগত নির্বাচনে এই ইউনিয়নে কেমন নগ্ন কারচুপি করা হয়েছে। আমার নিজের ভোটটিও আমাকে দিতে দেয়া হয়নি। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন নির্বাচন যদি সুষ্টু হতো তাহলে তার প্রতিক ধানের শীষ বিপুল ভোটে জয়ী হতো।
তবে সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন নির্বাচন করবে কিনা সে ব্যাপারে এখন কেউ মুখ খুলছে না, তা নির্ভর করছে তার চাচা কিং মেকার সাবেক এম পি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর উপর, এনায়েতনগর বাসী তাকিয়ে আছে তার দিকে, সে সিগন্যাল দিলে লিটন নির্বাচন করবেন।
তবে চেয়ারম্যান নিয়ে যতো আগ্রহ রয়েছে মেম্বার প্রার্থীদের নিয়েও আগ্রহের ও কোন কমতি নেই। বর্তমান মেম্বারদের পাশ কাটিয়ে কিছু নতুন মুখ মেম্বার হওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। বর্তমান মেম্বারদের ঘুম নেই। আবারও মেম্বার হতে নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছে। কর্মীসভা কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছে বর্তমান মেম্বাররা। আগামীতে ভোরটারদের সমর্থন পেতে নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি নিয়েও হাজির হচ্ছেন কেউ কেউ।
অন্যদিকে বর্তমান মেম্বারদের পাশ কাটিয়ে নতুন কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারনা এখন তুঙ্গে। ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যানার, ফেস্টুন সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে আগামী প্রার্থীতা জানান দিচ্ছেন। বিগত ১ বছর আগে থেকে কেউ কেউ প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। আবার নতুন করেও কিছু প্রার্থী মাঠে নেমেছেন ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে। তবে এবারের নির্বাচনে কিছু পরিবর্তন হচ্ছে বলে আভাস পাওয়া গেছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভোটারদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে নতুনদের নিয়ে ভাবনার কথা। তবে উন্নয়নে কিছু মেম্বার সফল হলেও আবার কিছু মেম্বাররের ঝুলিতে ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী। আর নানা দিক বিবেচনায় করেই আগামী দিনে নির্বাচনে ভোট দিবেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের ভোটারার এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
আপনার মতামত লিখুন........