আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : বিনোদন ও খেলাধুলার পরিবেশ না থাকায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঐতিহ্যবাহী নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠটি বছরের পর বছর পরিত্যক্ত ছিল। নিয়মিত মাদকসেবী ও ভবঘুরেদের আড্ডাখানা ছিল এটি। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২২নং ওয়ার্ড আওতাধীন বন্দরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠের কাজ সংস্কার সম্পন্ন করার পরে মহল্লার শিশু-কিশোর ও যুবকদের মনে স্বস্তি ফিরে আসলেও এলাকাবাসীর কোনো উপকারে আসছে না। মাঠে প্রচুর ধুলাবালি থাকায় খেলতে আসা শিশু-কিশোর ও শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারা ধুলাবালি জনিত শ্বাসকষ্ট ও চোখের নানা সমস্যায় ভোগে।
১০ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী নবাব সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠ। মাঠটিতে দুই থেকে তিন ইঞ্চি পুরু ধুলাবালির স্তর জমে আছে। চারপাশে ছড়িয়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। তার মধ্যেই মহল্লার শিশুরা খেলতে নেমেছে। মাঠের চারপাশের বসতবাড়িতে ধুলাবালি উড়ে যায়। এবং মাঠের দক্ষিণ পাশে রয়েছে রাস্তা,পথচারীরা ধুলাবালির কারণে মূখে হাত দিয়ে মাঠের সিমানা অতিক্রম করে চলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাঠটির সংস্কার মানসম্মত হয়নি। শুধু মাটিই ফেলা হয়েছে। আমূল কোনো পরিবর্তন হয়নি। চার পাশের পরিবেশ ও মাঠ পরিচর্যার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। পুরো মাঠের কোথাও ঘাস নেই, শুধু বালু আর বালু। মাঠের বেশির ভাগ জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে নির্মাণ সামগ্রী। চারদিকে ময়লা আবর্জনা। খেলতে আসা শিশু-কিশোররা বলেন, এটি আমাদের সবার মাঠ। মাঠে অনেক ধুলাবালি। একটু বাতাসে যখন ধুলো উড়ে তখন বাজে অবস্থার সৃষ্টি হয়। চোখে-মুখে শুধুই অন্ধকার দেখি। কিছুদিন আগে মাঠে মাটি ফেলা হয়েছে। তারপর আর ঠিক করা হয়নি। মাঠটি আগের চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে কারন আগে তো ধুলাবালি উড়ে আসতো না কিন্তু ধুলাবালির জন্য খেলতেও সমস্যা হচ্ছে। মাঠের পাশে ইট-পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় জোরে দৌড় দিলে পায়ে ব্যথা লাগে। সামনে বৃষ্টির সময় আসছে তখন দেখা যাবে পুরো মাঠে কাঁদা পানিতে ভরে যাবে। তখন খেলা যাবে না।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া বলেন,খেলার কোন মাঠ না থাকার এ মাঠের উপর চাপ বেশি হচ্ছে। ক্লাব কমিটির কোন সহযোগীতা পাচ্ছি না। বৃষ্টির নামলে বালু ফেলে সেখানে গোবর ফেলে ধুবলা গাছ লাগিয়ে দিবো। তখন এক মাস খেলা বন্ধ থাকবে। আমি দু’দিন পর পর ফায়ার সার্ভিস দিয়ে মাঠে পানি দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমি ক্লাব কমিটিসহ এলাকাবাসীর সহযোগীতা কামনা করছি।
আপনার মতামত লিখুন........