আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় রয়েছে ১০টি ইউনিয়ন। তার মধ্যে সনমান্দি ইউনিয়ন হচ্ছে একটি। এই ইউনিয়নে রয়েছে ভূমিদস্যু থেকে শুরু করে মাদক সম্রাটদের ব্যপক প্রভাব। জনপ্রতিনিধি ও তাদের সহযোগীরা ভূমিদস্যুতা হতে শুরু করে মাদক ব্যবসা করে রাতারাতি বনে গেছে কোটি পতি। সোনারগাঁ থানা পুলিশের তালিকা অনুযায়ী সনামান্দি ইউনিয়নে রয়েছে মাত্র ৪৫ জন মাদক ব্যবসায়ী। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবী এই মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা হবে কয়েকগুন।
আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪.নেটের হাতে ৪৫ জন মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা হাতে এসেছে। তা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুধু মারুবদী এলাকায় রয়েছে ১৮ জন মাদক ব্যবসায়ী, পূর্ব সনমান্দিতে রয়েছে ১৪ জন, কান্দাপাড়ায় ৭ জন, নাজিরপুর ৪ জন, বিভিন্ন এলাকায় আরো ৫ জন।
মারুবদী এলাকার মাদক সম্রাটরা হলেন, আব্দুর রহমানের পুত্র মুকুল হোসেন, আব্দুল জলিল জুল্লার পুত্র মোজাম্মেল হক মুজা, আলমের পুত্র নয়ন ও উজ্জ্বল, কাশেমের পুত্র গোলজার হোসেন, নুরুজ্জামানের পুত্র আবু, নুর ইসলামের পুত্র স্বপন, জামানের পুত্র আল আমিন, ওহাবের পুত্র করিম হোসেন, আবুল হোসেনের পুত্র মোঃ সবুজ,ওহাবের পুত্র আব্দুর রহিম ওসমান, কালামের পুত্র নাজু মিয়া, রফিকের পুত্র মেনজু, আবুল কাশেমের পুত্র ওমর, নুরু বেপারীর পুত্র আবু সিদ্দিক, গোলদীর পুত্র সুরুজ মিয়া, মুকুল।
পূর্ব সনমান্দি এলাকার মৃত আহসান আলীর পুত্র মোমেন মেম্বার, খলিলুর রহমানের পুত্র জাহাঙ্গীর, আব্দুল আজিজের পুত্র ইউসুফ, মৃত আব্দুল মান্নানের জসিমউদদীন, সামছু মিয়ার পুত্র নান্নু মিয়া, মৃত ছাদেকুর রহমানের পুত্র সালাউদ্দিন, তোতা মিয়ার পুত্র মানিক, আব্দুর রশিদের পুত্র শহীদ, ওহাব আলীর পুত্র আয়নাল, হাইয়ের পুত্র আলামিন, খেদমত আলীর পুত্র মজিবুর রহমান, ছাদু মিয়ার পুত্র ইদ্রিস আলী।
কান্দাপাড়া এলাকার তাওলাদ শিকদারের পুত্র সুমন শিকদার ও মাসুম শিকদার,রফিকুল শিকদারের পুত্র রিপন শিকদার,কালাইয়ের পুত্র আবু মিয়া,রুহুল আমিনের পুত্র বাদল,কুদরত আলী শিকদারের পুত্র পিয়ার হোসেন শিকদার।
নাজিরপুর এলাকার জেলা পরিষদের কর্মচারী গোলজারের পুত্র মাসুম, নুরে আলমের পুত্র সেন্টু, মোকাশেদের পুত্র মামুন, হাবিবুল্লাহ পুত্র আলামিন।
এছাড়াও সাজালের কান্দি এলাকার আব্দুর রশিদের পুত্র কালাম, ছনকান্দা এলাকার চান গঙ্গের পুত্র মনির হোসেন, চেঙ্গাকান্দি এলাকার কামাল, কান্দিপাড়া এলাকার আবু উল্লেখযোগ্য।
এসব মাদক ব্যবসায়ী ছাড়াও রয়েছে তাদের শতাধিক সহযোগী। এলাকাবাসীর দাবী তাদের আটক করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হলে সনমান্দি এলাকা হতে মাদক ব্যবসা নির্মূল সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ মুঠোফোনে জানান, আমি মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার। মাদক যুব সমাজকে ধবংস করে। আমার ইউনিয়ন হতে মাদক নির্মূলে যা যা করনীয় সব করবো।
আপনার মতামত লিখুন........