আলোকিত নারায়নগঞ্জ ২৪ ডট নেট : ফতুল্লায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে যুবলীগ কর্মী জনি (৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৯ নভেম্বর ফতুল্লার সেহাচর নূর মসজিদ এলাকায় মাদক বিরোধী সমাবেশে শেষে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানের নেতৃত্ব পিলকুনি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় জনির বাড়ির সামনে সাটানো সিসি ক্যামেরা ২টি ও কম্পিউটার জব্দকরা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত জনি থানা যুবলীগ সভাপতি মীর সোহেল আলীর একনিষ্ঠ কর্মী বলে জানা যায়। এর আগেও জনি মাদকসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। মাদক ব্যবসা মজবুত করতে সে যুবলীগে যোগদান করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মঞ্জুর কাদের জানান, আটককৃত জনির বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, জনির নেতৃত্বে পিলকুনি এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ পতিতার ব্যবসা হয় এবং পতিতার কাছে কোন খদ্দের আসলে তাদের ব্ল্যাক মেইল করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তার নেতৃত্বে প্রায় ডজন খানেক মাদক বিক্রির সেলসম্যান রয়েছে। পুলিশ যাতে গ্রেপ্তার করতে না পারে কে রাস্তায় আসা যাওয়া করে তার নিরাপত্তার জন্য তার বাড়ির সামনে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, যুবলীগ সভাপতি মীর সোহেল আলীর নাম ব্যবহার করে দাপটের সঙ্গে মাদক ব্যবসা করে আসছিল যুবলীগ কর্মী হাসান। হাসান থানা যুবলীগ নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন এলাকায় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, মীর সোহেল আলী ও হাসানের ছবিসহ ব্যানার ফেষ্টুন করে ফতুল্লা থানা এলাকায় বিভিন্ন রাস্তায় মোড়ে মোড়ে দেখা গিয়েছিল। এই ব্যানার ফেষ্টুন শো করে দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসা করে আসছিল হাসানসহ তার সহযোগীরা। তার পরেও মীর সোহেল আলী তার কর্মীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি।
এরপর ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই কামরুল হাসান ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রয়ারী বুধবার দুপুর ১২টায় পিলকুনি এলাকা থেকে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হাসান তার সহযোগী সাজ্জাদ ও কালুকে ৫০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার করেছিল।
আপনার মতামত লিখুন........